ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে ডিজিটাল কমার্স পুরো ব্যবসা খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে। দেশব্যাপী উচ্চগতির ইন্টারনেট সম্প্রসারণ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে ডাক অধিদপ্তরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্স এখন পণ্য বিক্রেতাদেরই প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা ক্রেতাদেরও প্ল্যাটফর্ম। এই খাতের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এই সেবাকে তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী গত বুধবার রাতে ঢাকায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ই-ক্যাব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক ও ই-ক্যাবের উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক এমপি, বাণিজ্যসচিব ড. জাফর উদ্দীন, আমদানি ও রপ্তানি অনুবিভাগের প্রধান এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক অনু, যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর জিয়া আশরাফ ও সাইদ রহমান বক্তব্য দেন।
জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ই-কমার্স এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়েছে প্রবৃদ্ধির একটা উদাহরণ হিসেবে। ই-ক্যাব একটি নবীন সংগঠন হয়েও তাদের কর্মতৎপরতা এবং আপৎকালীন সেবা দিয়ে সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আইসিটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, ই-ক্যাব মাঠ পর্যায়ে এবং সরকারের সঙ্গে পলিসি পর্যায়ে দেশের ই-কমার্সের উন্নয়নে কাজ করছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ই-কমার্সের উল্লেখযোগ্য ব্যাপ্তি ঘটেছে।
শমী কায়সার বলেন, ‘করোনার ঢেউ যখন দ্বিতীয়বার এসেছে তখন সরকার প্রথমে চলাচল সীমিত ঘোষণা করে ৬টা পর্যন্ত। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এবং সরাসরি গিয়ে বর্তমানে এই সময়টা রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করেছি।’