যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ই-কমার্স খাত। ই-ক্যাবের হিসেবে দেড় হাজার ই-কমার্স উদ্যোক্তা গেল বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বিশ্বের পথে এগিয়ে যাবে দেশ।
দেশের বাস্তবতায় চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে বরাবরই তরুণদের উৎসাহ দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বল্প পুঁজিতে দোকানের জায়গা ছাড়াই অনেকে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা। ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে দেখেছেন সফলতার মুখ। তবে অনলাইন কেনাকাটায় বড় সমস্যা এখন প্রতারণা। ক্রেতা ঠকানো কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ বিস্তর।
এদিকে প্রায় ১ যুগ ধরে ই-কমার্সের পথে হাঁটা বাংলাদেশ গতি পেতে শুরু করে ২০১৩ সাল থেকে। এর মাধ্যমে নতুন শিল্পবিপ্লব ঘটার অপেক্ষায়। আলু-পটলও যে অনলাইনে কেনা যায় নগরবাসী তা শিখেছে করোনাকালে। সংক্রমণ এড়াতে ঘরে বসেই নিত্যপণ্য পোশাক ইলেকট্রনিকস সামগ্রী থেকে শুরু করে খাবারও কিনছেন অনেকে। গত বছর কোরবানির হাটও বসেছে অনলাইনে।
এ বিষয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে সমন্বয় করে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাব প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। দেশে এখন ১৪শ’র বেশি সেবা অনলাইনে পাওয়া যায়। কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর।
একই বিষয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যারা চাকরি হারিয়েছে তারা কিন্তু প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। আর গত কয়েক বছরে ই-কমার্সের পরিধি বেড়েছে ৪ থেকে ৬ গুণ।