দুই মডেলের মোটরসাইকেল ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছে আলেশা মার্ট। তাদের এই অফারে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে। এরই মধ্যে ৪৬ হাজার বাইকের জন্য ৬৫৮ কোটি টাকা দিয়েছেন গ্রাহকরা, যেগুলো সরবরাহ শুরুর তারিখ ছিল গত ৬ জুলাই।
তবে সোমবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত একটি বাইকও পাননি কেউ। এ জন্য করোনাভাইরাসের কারণে পয়লা জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
আলেশা মার্টের এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, করোনার মধ্যেই যাত্রা শুরু করে লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে আলেশা মার্ট। টাকা নিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যেই মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু এখন করোনারই দোহাই দিচ্ছে; মোটরসাইকেল দিচ্ছে না। বিষয়টা তাদের জন্য উদ্বেগের। এটা এক ধরনের প্রতারণা বলেও মনে করছেন তারা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গ্রাহকরা যে ৪৬ হাজার মোটরসাইকেল অর্ডার দিয়েছেন, এর মধ্যে ২৮ হাজার ভারতের ১৫০ সিসির ডাবল ডিস্কের বাজাজ ব্র্যান্ডের পালসার আর ১৮ হাজার জাপানের ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের ভার্সন-৩ বিএস-৬ মডেলের।
৩৫ শতাংশ ছাড়ের অফার অনুযায়ী আলেশা মার্ট প্রতিটি পালসার বাইকের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়েছে। এ হিসাবে গ্রাহকরা জমা দিয়েছেন ৩৩০ কোটি ৪০ লাখ (১,১৮,০০০ গুণ ২৮ হাজার গ্রাহক) টাকা।
আর ইয়ামাহার ভার্সন-৩ বাইকের জন্য দিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা করে। এ হিসাবে বাইকটির জন্য আলেশা মার্টের কাছে গ্রাহকদের ৩২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আছে। সব মিলিয়ে শুধু এই ৪৬ হাজার মোটরসাইকেলের অর্ডার বাবদই গ্রাহকদের ৬৫৮ কোটি টাকা আছে নতুন এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে।