ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশের হুমকি বিষয়ক মামলা হওয়ার পর ফেসবুেক লিখেছেন, অথচ ৯ তারিখ আমি অফিসে যাই নাই।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছেন আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক। বুধবার গভীর রাতে গুলশান থানায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১০ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ তিনজন ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের সিইও রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধার শিকার হন। পরে তিনি বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির অফিসে গিয়ে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এক পর্যায়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল এসে তাঁকে ভয়ভীতি দেখানোসহ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় রাসেল তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেন। পরে ইভ্যালির চেয়ারম্যানও সেখানে এসে তাদের পণ্য অথবা টাকা কোনটাই ফেরত দেওয়ার হবে না বলে জানান।
ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল জানান, গত ১০ তারিখ শুক্রবার ছিল অফিস ছুটির দিন, আমি অফিসে যাই নাই অথচ আমি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলাম কি করে সেটায় বুঝলাম না। ইভ্যালি গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠান । ইভ্যালি কোন গ্রাহক কে অসম্মান করার সুযোগ নেই । আমরা সব সময় গ্রাহক সেবাই প্রাধান্য দিয়ে থাকি ।
তিনি বলেন, “যারা ইতোমধ্যে অর্ডার করেছেন, তারা যদি প্রোডাক্ট না পান, তবে ক্ষতিগ্রস্তদের লায়াবিটিলি আমার একার। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই সকল অর্ডার ডেলিভারি করে দিব ।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত নতুন এবং পুরাতন ডেলিভারি করছি। আশা করছি এই ডেলিভারির গতি দ্রুত বাড়বে। ইভ্যালির এতদিনের পরিশ্রম শুধুমাত্র একটি মার্কেট প্লেস তৈরি করা, যেখানে প্রচুর বিক্রেতা থেকে আমরা সঠিক মূল্যে পণ্য কিনে ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় মূল্যে বিক্রি করা।