ই-কমার্সে গ্রাহকদের অর্থের সুরক্ষা দিতে পণ্য হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত গেটওয়েতে অর্থ রাখার ব্যবস্থা বা এস্ক্রো সার্ভিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৯ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ এবং ডিআরইউ অ্যাপস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’বাংলাদেশ সরকারের টার্গেট হলো ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাওয়া। আর্থিক প্রতারণকে মোকাবেলা করতে চাইলে এর সমাধানের পথ প্রযুক্তি। লেনদেন যেন ডিজিটাল হয় সে ব্যবস্থা করা। আমরা ব্যাংকিং সেক্টরে আর্থিক দুর্নীতি, ই-কমার্সের দুর্নীতি- প্রতিটি জায়গায় ডিজিটাল সমাধান নিয়ে কাজ করছি। প্রতিটি লেনদেন অনলাইনে হবে, এতে একটা হিসাব থাকবে যে কে কত টাকা লেনদেন করছে। আমরা লেনদেন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই ‘
সম্প্রতি কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানির প্রতারণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে পলক বলেন, ’দরের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করেছে। এখানে অর্থ আত্মসাত হয়েছে এবং অনেকটা অর্থ হারিয়ে গেছে। কেননা কেউ ১০ টাকায় পণ্য কিনে ৭ টাকায় বিক্রি করেছে। অ্যামাজন, ইবে, আলীবাবাও শুরুতে এভাবে ব্যবসা শুরু করেছিলো। তারা পরবর্তীতে বড় বিনিয়োগ পেয়ে এ ব্যবধান কমিয়েছে এবং লাভজনক হয়েছে। এখানে যা হয়েছে তাতে কারো কারো উদ্দেশ্য হয়তো সৎ ছিলো। আর যারা শুরু থেকেই অর্থ আত্মসাৎ করে পালাতে চেয়েছে তাদের ব্যাপারটা আলাদা।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ’একটা পূর্ণঙ্গ ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করে ২০১৮ সালে আমরা ক্যাবিনেটে উপস্থাপন করি তখন ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত দেয় এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠাতে। ২০২০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এটা সংশোধন করেছে। আমি মনে করি, এখানে রেগুলেটরি বডি হওয়া প্রয়োজন। মার্কেট প্রাইজের চেয়ে অযৌক্তিক কম দামে কোন প্রতিষ্ঠান যেন পণ্য বিক্রি করতে না পারে।’
বাংলাদেশে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের বিষয়ে কি অবস্থান- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, ডিজিটাল মুদ্রা বা বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি অনেক দেশে অবৈধ। আবার কেউ কেউ বৈধতা দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করতে পারি। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সপার্ট নিয়ে আসি তারপর আলোচনা শুনি। আমরা চাই আলোচনাটা শুরু হোক। আমরা না জেনে না বুঝেই বাতিল যেন না করি। এখানে মাইনিং করে বিটকয়েনের জন্য ডাটা সেন্টার গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে।’