ফেসবুক ব্যবহার করে যারা ই–কমার্স খাতে ব্যবসা করেন, তাদেরও নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ই–কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে রোববার সচিবালয়ে নিবন্ধন নেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ই–কমার্স খাতে নিবন্ধন করে ব্যবসা করতে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে এই প্ল্যাটফর্ম।
এদিকে ই-কমার্স খাতে ব্যবসা করতে গেলে এখন থেকে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ডি/বি/আই/ডি নিতে হবে। সব অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই ব্যবস্থায় নিবন্ধন নিতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক না থাকায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। প্রতারণার অভিযোগে এ খাতের অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এখন কারাগারে।
এমন বাস্তবতায়, ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হলো ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ডিবিআইডি)। এ জন্য একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এ খাতের ব্যবসা করতে গেলেই এখন ডিবিআইডি নিতে হবে। আবার ফেসবুক ব্যবহার করে যারা এ খাতের ব্যবসা করবেন, তাঁদেরও আসতে হবে নিবন্ধনের আওতায় এমনটাই জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, ডিবিআইডি অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি দেবে। এ সময় চালডাল, আজকের ডিল, রকমারিডটকমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়া হয়।
এ খাতের উদ্যোক্তারা যাতে টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক ঋণ পেতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
ই-কমার্স খাতকে ভবিষ্যতের জন্য নির্ভরযোগ্য করতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও নতুন দুটি পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কোনো ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত গ্রাহক কত এবং তাদের পাওনার পরিমাণই–বা কত, সরকার এখনো তা জানে না। তবে তা জানতে গত ২৫ জানুয়ারি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে ই–কমার্সের নামে প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার আসামি ১১০ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৬ জন।