ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেছে সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। তাদের এই পদত্যাগপত্রের আবেদন বুধবার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্ট গঠিত ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।
মাহবুব কবীর মিলন বলেন, আমরা পদত্যাগ করেছি। আগামীকাল বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অন্য সদস্যরা ছিলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও তার মা, বোন জামাইকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাদেরকে নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।
এই পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয়- এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পর আদালতের গঠিত বোর্ডের সদস্যরা পদত্যাগ করতে পারবেন। আদালত তাদেরকে এই স্বাধীনতা দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গণমাধ্যমের কাছে এসেছে।
গত ২৪ আগস্ট বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, আদালত নিযুক্ত বোর্ড ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে আবেদনকারীদের নাম কোম্পানির রেজিস্টারে নিবন্ধন করতে সব প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে। বোর্ড নিযুক্ত অডিট ফার্মকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইভ্যালির অডিট সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। অডিট ফার্ম থেকে অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালত নিযুক্ত বোর্ড ইভ্যালি বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিজস্ব অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ দেবেন।