দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (https://daraz.com.bd/) গত (১১ অক্টোবর) তাদের পঞ্চম সেলার সামিট আয়োজন করেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তির্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসিস) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দারাজের নতুন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং দারাজ সামনে যেসব ফিচার নিয়ে আসবে তা সম্পর্কে সেলারদের জানাতে এ সামিট আয়োজিত হয়। এছাড়াও, দারাজ এখন যেসব ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেসব প্রযুক্তির সাথে সেলার ও উদ্যোক্তাদের যুক্ত করাও ছিলো এ সামিট আয়োজনের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, সেলার সামিট ২০২২ -এ দারাজের এ বছরে ১১.১১ ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে দারাজের গ্ৰুপ সিইও বিয়ার্কে মিকেলসেনসহ উপস্থিত ছিলেন দারাজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং দারাজের নিবন্ধিত সেলার ও উদ্যোক্তারা। সেলার সামিটে ই-কমার্স সেলাররা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে আরও সহজে ও কার্যকরী উপায়ে দারাজে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এবং বাংলাদেশের ই-কমার্স ইকোসিস্টেম ও দেশজুড়ে কমিউনিটির উন্নয়নে দারাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও, সামিটে দারাজ এক্সপ্রেস ডেলিভারি, সেলার প্রোমো টুল, যেমন: ফ্রি শিপিং ও ভাউচার, দারাজ অ্যাডভারটাইজিং সল্যুশন, সেলার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, পেমেন্ট পার্টনার অ্যানাউন্সমেন্ট, দারাজ কাস্টমার লয়্যালটি প্রোগ্রাম ও দারাজ লাইভ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও, সেলার সামিটে দারাজ সামনে যেসব অফার নিয়ে আসবে সে সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে: বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন ১১.১১ এবং দারাজের অ্যাপের নতুন ফিচার।
সামিটে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিলো ১১.১১ ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব, এর অফার এবং সেলাররা কীভাবে এ ক্যাম্পেইন থেকে উপকৃত হবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ক্রেতাদের জন্য এ ক্যাম্পেইনে কী থাকছে তা নিয়েও জানানো হয় এ সামিটে। ১১.১১ ক্যাম্পেইনে থাকবে ১৮ লাখ টাকা সমমূল্যের ডিল, ২০ হাজারের বেশি সেলারের অংশগ্রহণ এবং পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিশাল ছাড়। এছাড়াও জানানো হয়, দারাজের কাউন্টডাউন ক্যাম্পেইন শুরু হবে ১ নভেম্বর এবং চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত, যেখানেও থাকবে ভাউচার, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় ছাড় ও ডিল।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এই উপলক্ষ্যে বলেন “আট বছর আগে দারাজ যেখানে মাত্র পাঁচজন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো, সেখানে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি ও ভালোবাসায় আজ দারাজ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি এবং বর্তমানে রেজিস্টার্ড সেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,০০০। সেলার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, ক্লোজড বক্স পলিসির কারণে সেলার রেস্পন্সিবিলিটি ও তেমন বেড়েছে।
আমি প্রত্যেক বিক্রেতাকেই নিয়ম নীতি মেনে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে আহ্বান জানাই যার মাধ্যমে দারাজ, ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলেই উপকৃত হবেন। আমাদের প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে মিলে ভোক্তাদের যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধানে একইভাবে অবদান রাখবে”
অনুষ্ঠানে সমাজ ও দারাজের প্রতি সেলারদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।