ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের অবসায়ন হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির অবসায়ন চেয়ে উচ্চ আদালতে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এমন আদেশ দেন। ব্যাংকসহ বিভিন্ন অংশীজনরা চাইলে নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারে। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে ইভ্যালি এক সময় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হবে বলে আদালতের অভিপ্রায় রয়েছে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বিগত মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ থেকে দেওয়া আদেশে এমনটাই বলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রায়ের প্রত্যায়িত প্রতিলিপি প্রকাশিত হয়।
প্রতিলিপি অনুযায়ী, ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেনের আবেদনের নিষ্পত্তিতে সকল পক্ষের যুক্তিতর্ক আমলে নেন উচ্চ আদালত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আইনজীবী তাপস কান্তি বল আদালতকে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়মের মধ্যে রেখে পরিচালনার বিষয়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন। এসব পদক্ষেপে ইভ্যালি ছাড়াও ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ উঠে আসে।
প্রতিলিপিতে আরও বলা হয়, আদালত পাওনাদার, জমির মালিক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অংশীজনদের স্বার্থ রক্ষার্থে অবসায়নের বদলে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আদেশ জারি করে।
এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে আদালত ইভ্যালির অবসায়ন না করার বিরুদ্ধে আদেশ দেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনরা চাইলে ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে বলেও আদালতের রায়ে বলা হয়। একই সঙ্গে ইভ্যালি এক সময় লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আদালতের অভিপ্রায় রয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সে মাসের ২২ তারিখ ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে উচ্চ আদালত। এই রুলে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ইক্যাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, ইভ্যালিকে প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়।