শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার ছানার পায়েসের জিআই আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল (২৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা ব্র্যান্ডিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।
জেলা প্রশাসক বলেন, “এর আগে শেরপুরের সুগন্ধি তুলশীমালা চাল দেশের ১২তম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। ছানার পায়েসের বেশ সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে। তাই এটিকেও জিআই নিবন্ধনের আওতায় আনতে কাজ করা দরকার।” তুলশীমালা জিআই নিবন্ধন পাওয়ায় তিনি সংশিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ। তিনি জিআই পণ্যের আবেদন ও স্বীকৃতি পাওয়ার সকল শর্ত ও সম্ভাবনা তোলে ধরেন। ছানার পায়েসের জিআই ডকুমেন্টেশন স্ক্রিনে দেখার সুযোগ করে দেন এবং উপস্থিত সকলের মতামত নেন।
সম্ভাব্য জিআই পণ্য হিসেবে শেরপুরের ছানার পায়েস নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠলে এসবের উত্তর দেন জেলা ওয়েবসাইট ‘আওয়ার শেরপুর’ এর উদ্যোক্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন সমজাতীয় অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে ছানার পায়েসের স্বতন্ত্রতা নিয়ে। এটি কেন জিআই পণ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, জিআই স্বীকৃতি পেলে কী লাভ হবে ইত্যাদি নিয়ে বলেন। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) থেকে আমরা ২৫টির বেশি সম্ভাব্য জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন করেছি।
সম্ভাব্য জিআই পণ্য হিসেবে শেরপুরের ছানার পায়েসের জিআই আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়। শিগগিরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা, ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হবে জানান জেলা প্রশাসক।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাক ফেরদৌস, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল মাহমুদ, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এসএম মোহাই মোনুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বাপ্পী দে-সহ জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী, ব্র্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।