জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, ইভ্যালি ব্যবসা করতে পারলে টাকা ফেরত দিতে পারবে। জেলে আটকে রাখলে টাকা পাওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি তারা ব্যবসা শুরু করার পর আমরা তাদের শোকজ করেছি। তারপর কিছু শর্তসাপেক্ষে আলোচনার মাধ্যমে টাকা ফেরতের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সভা কক্ষে ইভ্যালির ১৫০ জন গ্রাহককে টাকা ফেরতের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তা-অধিকারে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ নিষ্পত্তি সম্পর্কে সফিকুজ্জামান বলেন, ইভ্যালিকে ব্যবসা চালাতে হলে আমাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি চলমান প্রক্রিয়াতে শেষ করতে হবে। এটা না করলে আমরা ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোক্তা-অধিকারে থাকা অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি শুরু করলাম। প্রতি মাসে ব্যবসায়িক মুনাফার অংশ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হবে। আমরা এখন যে পদ্ধতিতে ব্যবসা করছি এতে করে খুব দ্রুতই সকলের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তাদের নয়; যারা টাকা পাবেন এমন সবার টাকাই পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। এ জন্য আমরা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলাপ করে শিগগির ঘোষণা দেব।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালি নতুন করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর পর তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে ভোক্তা অধিকারে থাকা অভিযোগ নিষ্পত্তি শুরু করেছে। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তির আগে ভোক্তা-অধিকারে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৫৯৬টি অভিযোগ ছিল। আজ ১৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তির বিপরীতে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করল প্রতিষ্ঠানটি।