হস্তশিল্প ভিত্তিক ফ্যাশনেবল ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হারমিজন ৫ বছর শেষে ৬ বছরে পা রাখলো। ২০১৯ সাল থেকে অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং আরামের নিশ্চয়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে রাখছে নিজেদের পদচিহ্ন। সাশ্রয়ী মূল্যে এবং আরামদায়কতা হারমিজনকে জায়গা করে দেয় গ্রাহকদের মনে। প্রতিটি পণ্য তৈরি হয় স্থানীয় হস্তশিল্প কারিগর দ্বারা। পণ্যের গুণমানের ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ তারা। হারমিজনে পাওয়া যায় হাল ফ্যাশনের হিল, জুত্তি, কোলাপুরি, গ্রীষ্মকালীন ফ্ল্যাটস, স্লাইডস এবং জমকালো পাম্প জুতো।
রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি এবং মিরপুরে আছে আউটলেট। দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৩২টি অংশীদারত্ব আউটলেট রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার জগতেও হারমিজন বেশ জনপ্রিয়। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে আছে ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার। দ্রুত তম সময়ে দেশের ভেতরে এবং বাইরে পণ্য হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে। হারমিজন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবী নারীদের মধ্যে। আরামদায়ক, সাশ্রয়ী এবং জমকালো ডিজাইন একে করে তুলেছে নারীদের প্রথম পছন্দ। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বস্ত গ্রাহকের সংখ্যা।
হারমিজনের সফলতার পেছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাতুল হক। তিনি বলেন, হারমিজন প্রাধান্য দেয় পণ্যের গুণমান, স্থায়িত্বের ওপর এবং নিশ্চিত করে এর আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল ফুটওয়্যার। ফোকাস থাকে হস্তশিল্পের পণ্য এবং স্থানীয় কারিগরদের ওপর। বাংলাদেশের ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত স্থান অর্জন করতে সাহায্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের স্থানীয় কারিগরদের সহযোগিতায় এমন একটি ব্র্যান্ড তৈরি করা, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে সংরক্ষণ করবে। একে পৌঁছে দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে। প্রতিষ্ঠানটি কারিগরদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আসন্ন ঈদকে ঘিরে হারমিজনে নতুন নতুন ডিজাইনসহ সব ধরনের পণ্যে নতুনত্ব রয়েছে। অনলাইন কেনাাকাটায় রয়েছে বিশেষ ছাড়ও।
আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগ থাকছে হারমিজনে। যা দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের হাতে। ফলে অনলাইনে বেশ জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে অর্ডার করতে: https://hermizon.com/ এবং ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/hermizonbd