অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মতো করোনাভা্ইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে শামিল হয়েছে স্যামসাং-ও। তহবিল, ওষুধ, ফেস মাস্ক, ইত্যাদির পাশাপাশি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট দান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোয়ারেন্টিনে থাকা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদেরকে স্মার্টফোন দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। আর ট্যাবলেট দান করা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
“আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকা রোগীদের স্মার্টফোন দিচ্ছি, যাতে তারা বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারেন, এ ছাড়াও বায়ু বিশুদ্ধকরণ এবং অন্যান্য সরবরাহ দিচ্ছি হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে”। – বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে স্যামসাং।
“আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্যাবলেট দিচ্ছি, যাতে শিশুরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে থেকেও শেখা চালিয়ে যেতে পারে”। – বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবমিলিয়ে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক ও সামগ্রী সাহায্যে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলারের সাহায্য দান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাল্টে গেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পের চিত্র। স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক প্রতিষ্ঠানই নিজ কার্যালয় ও দোকান বন্ধ রাখছে। থমকে গেছে গতানুগতিক ব্যবসা কার্যক্রম, ব্যবসায়িক সফর; বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনও বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যাপক মাত্রায়।
করোনাভাইরাস বাস্তবতায় নিজেদের একটি দক্ষিণ কোরীয় কারখানা স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়েছিল স্যামসাংকে এবং বন্ধ করে দিতে হয়েছিল নিজেদের সব দোকানও। সব কর্মীর জন্য তাপমাত্রা পরিমাপ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্যামসাং। প্রতিদিন সব কিছু গভীরভাবে পরিষ্কারও করা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে মিলে ‘ফেস মাস্ক’ তৈরির কাজে নেমেছে স্যামসাংয়ের প্রকৌশলী টিম। উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কারখানা খসড়া উন্নত করে উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করছেন তারা। – জানিয়েছে স্যামসাং।
“আমাদের প্রচেষ্টার কারণে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে প্রতিদিনের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে”। – বলেছে স্যামসাং।