ল্যাপটপসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন আইটেমে ক্রেতাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ল্যাপটপ কিনে ১০০% ক্যাশব্যাক পেয়েছেন ফ্রিল্যান্সার নাজমুল হাসান। পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ওয়ালটন থেকে ল্যাপটপটি কিনে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি পেয়ে মহাখুশি নাজমুল।
উল্লেখ্য, নতুন বছর উপলক্ষ্যে ওয়ালটনের সব মডেলের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি এবং অন্যান্য আইটি পণ্য ও এক্সেসরিজে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক রয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা এবং ডিলার পয়েন্টে এসব সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহকরা। নগদ মূল্য ও কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও ক্যাশব্যাক মিলছে।
এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ল্যাপটপের গ্রাহকরা সর্বনিম্ন ১,৮৮৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,৬৮,৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন। ওয়ালটনের অন্যান্য আইটি পণ্যেও রয়েছে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
এদিকে ওয়ালটন ডিজিটাল ডিভাইস কেনায় ক্রেডিট কার্ডে বিনা ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে দেশের ৩৭৫টি ওয়ালটন প্লাজা। পাশাপাশি অনলাইনের ই-প্লাজা (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে অর্ডার করলে থাকছে ব্যাপক মূল্যছাড়। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ালটন ল্যাপটপ কেনায় রয়েছে বিশেষ সুবিধা। তবে ই-প্লাজা থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক সুবিধা মিলবে না।
ওয়ালটন ল্যাপটপ কিনে ১০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাওয়া ক্রেতা নাজমুল হাসান জানান, তার বাড়ি চাঁদপুরে। বাড়িতে থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিলান্সিং) হিসেবে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করছেন। কাজের সুবিধার জন্য তিনি গত ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের ওয়ালটন প্লাজা থেকে প্রিলুড এন৫০০১ মডেলের ল্যাপটপটি কেনেন। যার দাম ২৮,৭৫০ টাকা। এরপরই ১০০ শতাংশ ব্যাকব্যাক পান তিনি। অর্থাৎ পছন্দের ল্যাপটপটির জন্য নাজমুলকে কোনো টাকা দিতে হয় নি। তিনি এটি সম্পূর্ণ ফ্রি পেয়েছেন।
ওয়ালটন ল্যাপটপের পারফর্মেন্সে দারুণ খুশি নাজমুল। তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড। কিন্তু তাদের পণ্য আন্তর্জাতিকমানের। ফ্রিলান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ প্রয়োজন হলে অন্য কোনো ব্র্যান্ডের কথা না ভেবেই নগদ টাকা নিয়ে সোজা চলে যাই ওয়ালটন প্লাজায়। সেখান থেকে পছন্দের ল্যাপটপটি কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। যার মাধ্যমে জানতে পারি যে ওয়ালটন ল্যাপটপ থেকে আমি ১০০% ক্যাশব্যাক পেয়েছি। প্লাজা কর্তৃপক্ষ আমাকে ল্যাপটপটির সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেয়। ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
এদিকে গত ১৪ জানুয়ারি ওয়ালটন ল্যাপটপ কিনে ৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পেয়েছেন দুজন। তারা হলেন ঢাকা ডেমরার মোহাম্মদ রাসেল এবং ময়মনসিংহের রামবাবু রোডের আবু সায়েদ খান। প্রিলুড এন৪১ মডেলের ল্যাপটপ কিনে ডিভাইসটির মূল্যের অর্ধেক টাকা ফেরত পেয়ে মহাখুশি রাসেল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত রাসেল জানিয়েছেন ওয়ালটন ল্যাপটপ ব্যবহার করে তিনি খুবই সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে আবু সায়েদ খানও প্রিলুড এন৪১ মডেলের ল্যাপটপ কিনে ৫০% ক্যাশব্যাক পেয়েছেন। তিনি কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন ল্যাপটপটি কিনেছেন। ক্রেতাদের জন্য দারুণ সব সুবিধা রাখায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আবু সায়েদ।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি এবং কম্পিউটার বিভাগের সিইও প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, ওয়ালটন সবসময় ক্রেতার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, মুক্ত পেশাজীবীসহ সব শ্রেণী-পেশার ক্রেতারা যাতে সহজেই ডিজিটাল ডিভাইস কিনতে পারেন, সেজন্য ওয়ালটন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ এবং কম্পিউটার এক্সেসরিজে শতভাগ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমিদের কাছে এ ক্যাম্পেইন দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর ফলে ক্রেতারা দেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ডিজিটাল ডিভাইস সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যার যার কাজে সক্রিয় থাকতে পারছেন।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন কনফিগারেশনের প্রিলুড, প্যাশন, ট্যামারিন্ড, কেরোন্ডা এবং ওয়াক্সজ্যাম্বু সিরিজের ২১ মডেলের ল্যাপটপ। যেগুলোর দাম মাত্র ২৩,৫৫০ টাকা থেকে ১৬৮,৫০০ টাকা। ৭ সিরিজের ১৬ মডেলের ওয়ালটন ডেস্কটপের মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা থেকে ১২৯,৫৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ওয়ালটনের রয়েছে ৩ মডেলের অল-ইন-ওয়ান ওয়ালটন কম্পিউটার। যার মূল্য ৪৬,৯৫০ থেকে ৫৫,৫০০ টাকার মধ্যে।
পাশাপাশি বিভিন্ন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের মনিটর, মেমোরি কার্ড, র্যাম, এসএসডি ড্রাইভ, মাউস, কিবোর্ড, পেন ড্রাইভ, ইয়ারফোন, ওয়াই-ফাই রাউটার, ইউএসবি ক্যাবল, স্পিকার, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ইউপিএস, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড ইত্যাদি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
মডেলভেদে ল্যাপটপে সর্বোচ্চ ২ বছর এবং ডেস্কটপে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।