২০২১ সালে বিশ্বে স্মার্টফোন বাজারজাতের পরিমাণ ১৩৮ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে। ২০২০ সালের তুলনায় যা ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি এবং ২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আইএএনএস।
স্মার্টফোন বাজারজাতের এ গতি ২০২২ সাল পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক বছর থেকে আরেক বছরে এ সরবরাহের হার হবে ৩.৮ শতাংশ এবং মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৩ কোটি ইউনিট। আন্তর্জাতিক ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) প্রান্তিকভিত্তিক বৈশ্বিক মোবাইল ফোন ট্র্যাকার প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আইডিসির মোবাইল ডিভাইস ট্র্যাকার প্রোগ্রামের সহসভাপতি রায়ান রেইথ বলেন, গ্রাহকরা বর্তমানে কম্পিউটার, ট্যাবলেট, টেলিভিশন এবং অন্যান্য আধুনিক ইলেকট্রনিক গৃহস্থালি পণ্য ব্যবহার করছেন। যে কারণে প্রযুক্তি বাজারে স্মার্টফোন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। তবে এ প্রতিবন্ধকতা স্মার্টফোনের বাজার পুনরুদ্ধারে কোনো প্রভাব ফেলছে না।
২০২১ সালে বিশ্বে ফাইভজি প্রযুক্তির পণ্য বাজারজাতের পরিমাণ ১৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। সেই সঙ্গে চলতি বছরের শেষ নাগাদ চীন ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল এ খাতে তিন সংখ্যার বৃদ্ধি দেখতে পারবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে ৫০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ২০২১ সালে শীর্ষে থাকবে চীন। এরপর ১৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ২০২১ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম ইউরোপ ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ফাইভজি মার্কেটে সম্মিলিতভাবে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে অবস্থান করবে।
আইডিসির মোবাইল ডিভাইস ট্র্যাকার প্রোগ্রামের গবেষণা পরিচালক অ্যান্থনি স্কারসেলা বলেন, বিশ্বে ফাইভজি প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি পণ্যের দাম যদি বাড়তে থাকে, তবে ২০২১ সালে এ খাতের প্রবৃদ্ধি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৫ সালের পর বিশ্বে এমন কিছু ঘটবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি বাজারে ৭.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিকে পর্যাপ্ত মনে না হলেও একটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা মানবজাতির ইতিহাসে অন্যতম দুর্যোগময় একটি বছর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।