সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া মাস্টার্স করতেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জন্ম ও বেড়ে উঠা রাজধানী ঢাকাতে। বাবা চাকরিজীবী আর মা গৃহিণী । তার স্বপ্ন শুধু চাকরিজীবী বা গৃহিণী হওয়া নয়। নিজের পরিচয় তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা। জয়ার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প নিয়ে টেকজুমের এবারের আয়োজন। রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া এর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
টেকজুম: উদ্যোগ শুরু করছিলেন কিভাবে?
জয়া: অনার্স প্রথম বর্ষে ২ জন পার্টনার মিলে হুট করে শখের বশে ফেসবুক পেজ তৈরির মাধ্যমে শুরু করি ব্যবসায়ী যাত্রা। তখন ব্যবসার তেমন জ্ঞান ছিল না আমাদের। পরবর্তীতে আমার পার্টনার বিজনেস ছেড়ে দেওয়ায় নিজের মত করে পুনরায় শুরু করি। আর তা আমার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ছিলো নিজের ভালো লাগাকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়া।
টেকজুম: কি কি পণ্য বিক্রি করেন?
জয়া: ছোটবেলা থেকেই শাড়ির প্রতি রয়েছে আমার বিশেষ আকর্ষণ। সেই আকর্ষন আর দুর্বলতা থেকেই দেশি শাড়ি বিক্রি করি আমার ‘পরিধান শৈলী’তে। দেশি হাফসিল্ক, ব্লক, হ্যান্ডপেইন্ট ও সুতির শাড়িতে আমার মূল ফোকাস।
টেকজুম : আপনার উদ্যোগের ভবিষৎ পরিকল্পনা কি?
জয়া: তাঁতী সহ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ’পরিধান শৈলী’কে দেশি শাড়ির ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত করানো আমার স্বপ্ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা। আমি চাই দেশে এবং বিদেশে ‘পরিধান শৈলী’কে চিনবে দেশি শাড়ির ব্রান্ড হিসেবে।
টেকজুম: আপনার ক্যারিয়ারে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) কিভাবে অবদান রাখছে?
জয়া: আমার উদ্যোক্তা জীবনে উইয়ের অবদান আসলে বলে শেষ করা যাবে না। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার এবং ‘পরিধানশৈলী’র পরিচিতির পুরো অবদান উইয়ের উপদেষ্টা শ্রদ্ধেয় রাজিব স্যারের। এমনকি আমার ‘পরিধানশৈলী’র নামকরণও হয়েছে স্যারের সুপরামর্শে।
আমি তিন বছর ধরে ই-কমার্স করছি কিন্তু উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে একটু একটু করে গড়ছি উইতে এসে। ই-কমার্সের খুঁটিনাটি সব কিছু আমি উইতে শিখেছি। আমার উদ্যোগ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু এই স্বপ্ন গুলো পূরণ করার পথ আমার জানা ছিলো না। উইতে জয়েন হওয়ার পর থেকে শ্রদ্ধেয় রাজিব স্যারের দিক নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করে স্বপ্ন পূরণের পথ খুঁজে পেয়েছি। ২০১৯ সালের ২৩শে অক্টোবর উইতে জয়েন করেছি। তারপর থেকে আমার জীবনে আমূল ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমার উদ্যোক্তা জীবনের নতুন জার্নির জন্য উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা আপু ও শ্রদ্ধেয় রাজিব স্যারের প্রতি আমি সবসময়ই কৃতজ্ঞ।