পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ নিরিবিলি জীবন যাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সমাজের অধিকাংশ নারী-ই অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার অজুহাতে আবার কেউ নিরাপত্তার অজুহাতে নিজেকে গুঁটিয়ে রেখেই স্বস্তি পান। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। যারা বাধাকে ডিঙিয়ে আনন্দ পান। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে চান।
তিনি দৃঢ় মনোবল, সাহস, বুদ্ধি ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে নিজেই গড়েছেন নিজের জগত। হ্যাঁ, তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলা মেয়ে সামরিনা আক্তার লিজা । বিভিন্ন দেশীয় মেয়েদের ড্রেস ও মেহেরপুর এর বিখ্যাত মিষ্টি সাবিত্রী নিয়ে নিয়ে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান ‘লিজাস ড্রেস পয়েন্ট’।
সামরিনা আক্তার লিজার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে বিয়ে হয়ে যায় সাথে তার লেখাপড়া ইতি টানতে হয়। এই লেখাপড়া নিয়ে চাকরিও সম্ভব না আবার নিজের কিছু একটা করার সুপ্ত বাসোনা থেকে শুরু করে দিলাম উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনোন।
উদ্যোক্তা হওয়ার শুরু দিকের কথা জানাতে চাইলে লিজা বলেন,, সবাই চাই জীবনে কিছু করতে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে। আমিও তার ব্যাতিক্রম না। তবে আমি শুধু নিজের বা নিজের পরিবারেরই না আমার আশেপাশের মানুষেরও পাশে দাড়াতে চাই। আর সেই লক্ষেই মেয়েদের ড্রেস নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার মনে হয়েছে যে অসহায় মেয়েদের পাশে দাড়ানোর একমাত্র সুযোগ হলো তাদের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা। সেই জন্য হাতের কাজের ড্রেস নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আলহামদুলিল্লাহ পেরেছি। ধিরে ধিরে তা আরও বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।
ক্রেতাদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথমে পরিচিতদের থেকে জেনে তাদের পরিচিতরা এবং তাদের পরিচিতরা এভাবেই একটা চেইনের মাধ্যমে আমার উদ্যোগের কাস্টমারস বেড়ে চলছে। ক্রেতারাই আমার উদ্যোগের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জায়গাটা দখল করে নিয়েছে।
‘লিজাস ড্রেস পয়েন্ট’ নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি জানতে চাইলে তিনি জানান, উদ্যোক্তা হয়ে উঠার স্বপ্ন পূরণে নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করছি। নিজের স্কিল ডেভলপমেন্ট এর জন্য অনুশীলন করছি। আমার উদ্যোক্তা হওয়ার মুল উদ্দেশ্য হলো গ্রামের অসহায় মা,বোনেদের পাশে দাড়ানো। কারণ এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের কিনা অল্প বয়সে স্বামী মারা যায় আবার স্বামী ছেড়ে চলে যায়। তাদের পাসে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না আবার তারা বেশি শিক্ষিত ও না যে চাকরি করে জীবন চালাবে। এই সমস্ত মা বোনদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে আমার এই উদ্যোগ নেওয়া যাতে তারা কিছু করতে পারে। অন্তত কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারি ও নিজের পরিবারের পাশে দাড়াতে পারি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি ।
লিজা উদ্যোক্তা হওয়ার পুরো কৃতিত্ব দিতে চান উই গ্রুপকে । রাজীব স্যার এর প্রত্যেকটা পরামর্শ আমার জীবনে আশীর্বাদের মতো কাজ করেছে। প্রত্যেক্টা উপদেশ মেনে চলি। নিজের পারসোনাল ব্রান্ডিং গড়ার জন্য উই তে নিয়মিত হই। ব্যবসা শুরু করেই মহা বিপদে পড়ি কিভাবে কি করবো কিছুই জানিনা। ব্যবসাতে ব কলম ছিলাম আমি। উইতে এসে শুরু হলো আমার ব্যবসার বেসিক জ্ঞান আহরণ। উইয়ের জন্য বিশেষ করে রাজিব আহমেদ স্যারের পরামর্শ মোতাবেক লেখাপড়া করে ঘরে বসেই এফ-কমার্স বিজনেস করতে পারছি ।