দেশের ১৫৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৭ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তার অর্থ পৌছে যাবে বিকাশে।
গতকাল ২৭ জুন এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আরো সংযুক্ত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এই উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রমের ব্যাংকিং অংশীদ্বার অগ্রণী ব্যাংক।
এই কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রতি ছয় মাসে উপবৃত্তি বাবদ ৩০০০ টাকা এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বাবদ ১০০০ টাকা করে পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উপবৃত্তি কার্যক্রম অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হওয়ায় এবং সফলতার সাথে তা বাস্তবায়িত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির প্রশংসা করেন।
ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষায় মেয়েদের উৎসাহিত করা সহ সার্বিক উন্নয়নে প্রথমবারের মত কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য এই উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষার্থীরা এই তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হবে। সকল মেয়ে এবং প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর তালিকায় থাকবে।
বিকাশে পাওয়া উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণের টাকা শিক্ষার্থীরা কোন খরচ ছাড়াই বাড়ির পাশের বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে খুব সহজেই ক্যাশআউট করে নিতে পারবে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালিত মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পটি সবচেয়ে বড় উপবৃত্তি প্রকল্প।
উল্লেখ্য, ৪০ লাখ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় বিকাশ এর মাধ্যমে খুব সহজেই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উপবৃত্তি পেয়েছেন।