নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আবিষ্কৃত হলেও আমাদের দেশে এর সংক্রমণ শুরু হয় এই বছরের মার্চ মাসে। দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মার্চের শেষ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোল্রা তারিখ শুধু পিছিয়েই যাচ্ছে কিন্তু এখনো খোলা হয় নি।
করোনার এই প্রকোপের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্লাস দেওয়া হয়। অনেকে এই ক্লাস করেছে আবার অনেকে করেনি। তবে এই ক্লাসের পাশাপাশি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর নিজেদের অনলাইন ক্লাস পাঠাতে হচ্ছে ইউটিউবে। আবার অনেক শিক্ষকই জুম মিটিং এর সাহায্যে অনলাইনে ইন্টারেকটিভ ক্লাস নিচ্ছেন।
তবে এই ব্যবস্থা কি আমাদের আগে সামনা সামনি পড়ানোর ব্যবস্থার বিকল্প হতে পারে? না, বাংলাদেশের মত এক দেশে এটা বর্তমান সময়ে হওয়া অসম্ভব। কারণ বাংলাদেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভাব নেই। তাই তারা স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ থেকে অনলাইন ক্লাস করতে পারবে না।
আবার নেটওয়ার্ক এখানে বেশ বড় মাপের ভূমিকা পালন করে। যদি মোবাইল নেটওয়ার্কের অবস্থা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে উপজেলা থেকে কয়ে কিলোমিটার ভেতরে গ্রামের দিকে এগিয়ে গেলে মোবাইল ফোনে কল করে কথা বলাটাই বেশ দুষ্কর। তাহলে সেখানে এত দূর্বল নেটওয়ার্কে কিভাবে ইন্টারেকটিভ ক্লাসে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা? এইসব দিক বিবেচনা করলে বলা যায় যে অনলাইন ক্লাস সামনা সামনি পড়ানোর পরিপূরক হতে পারে কিন্তু বিকল্প নয়।
তবে এখন আমাদের দেশে যে সময় চলছে এই সময়ে বেইরে গিয়ে সামনা সামনি ক্লাস করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকারের আদেশ মেনে চলুন।নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখুন ও হাত্না সাবান হা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার না করে চোখ, মুখ ও নাক লাগাবেন। বাইরে গেলে মাস্ক পরে থাকুন আর বাড়িতে এসে নিজেকে ভাল করে পরিষ্কার করুন। নিজে সুস্থ থাকুন আর আপনার পরিবারকেও সুস্থ রাখুন। আর এই শীতে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই সরকারের দেওয়া নিতিমালা মেনে চলুন আর সুস্থ থাকুন।