শিশুদের সামনে টিকটক কোন ধরনের কন্টেন্ট তুলে ধরছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমটি অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এ নিয়ে মামলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে।
আইওয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলা করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
মাদক, নগ্নতা, অ্যালকোহল এবং অশ্লীলতাসহ প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কন্টেন্টের ছড়াছড়ি নিয়ে মিথ্যা বলার জন্য টিকটক এবং এর মূল চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সকে অভিযুক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রেনা বার্ড।
এই ভিডিও স্ট্রিমিং সামাজিক মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে অঙ্গরাজ্যের পোল্ক কাউন্টির একটি আদালতে। ‘টিকটক বাবা-মাদের অন্ধকারে রেখেছে,’ বলেছেন রিপাবলিকান দলের প্রাধান্য থাকা অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল বার্ড।
‘আমাদের এ বিষয়ে নজর দেওয়ার সময় এসেছে’ উল্লেখ করে বার্ড বলেন, টিকটক শিশুদের সামনে বিভিন্ন গ্রাফিক কন্টেন্ট যেমন যৌনতা, আত্মঘাতমূলক, মাদকের অবৈধ ব্যবহারসহ ‘আরও খারাপ বিষয়বস্তু’ তুলে আনছে।
গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে আর্থিক জরিমানা চাইছে আইওয়া। পাশাপাশি, টিকটক যেন ধোঁকাপূর্ণ ও অন্যায় আচরণে কাউকে যুক্ত করতে না পরে সে আদেশও রয়েছে চাওয়ার তালিকায়। এর আগেও টিকটকের বিরুদ্ধে কোনো মার্কিন অঙ্গরাজ্যের করা মামলার নজির রয়েছে। টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম অনুপযুক্ত কন্টেন্ট থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রকদের চাপের মুখে রয়েছে।
এর আগে আরকানস এবং ইউটাহসহ একাধিক মার্কিন অঙ্গরাজ্য একই ধরনের মামলা করেছে। গত নভেম্বরে, ইন্ডিয়ানার একজন বিচারক, টিকটকের বিরুদ্ধে অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেলের করা মামলা খারিজ করেছেন। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে তদন্ত চলছে।
আরেক মার্কিন অঙ্গরাজ্য মন্টানা আদালতের এক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছে এ মাসের শুরুতে। নভেম্বরে, প্রথমবারের মতো মন্টানায় কোনো অ্যাপের (টিকটকের) ওপর জারি করা অঙ্গরাজ্যটির আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা আটকে দিয়েছিলেন তিনি।
মন্টানার এ নিষেধাজ্ঞা জানুয়ারির ১ তারিখে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ডিস্ট্রক্টি জাজ ডোনাল্ড মলয় ৩০ নভেম্বর ওই নিষেধাজ্ঞা আটকে দিয়ে বলেন, মন্টানার ওই নিষেধাজ্ঞা ‘একাধিক দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করে’ এবং ‘ফেডারেল সরকারের কর্তৃত্বকে খর্ব করে।’
এরই মধ্যে ৩১ জানুয়ারি টিকটক সিইও শউ জি চিউয়ের মার্কিন সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সামনে অনলাইনে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।