বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে এসেছে অসংখ্য গেমস। অবসরযাপনের জন্যই অনেকেই খেলছেন এগুলো।
কোনো গেমে গুলি করে ‘করোনা’ মারতে হবে। মারতে মারতেই জয়। কয়েক দফায় জিতে ‘কোয়ারেন্টিন জ়োন’-এ ঢুকে পড়লে লড়াই আরও কঠিন। কোনো গেম আবার জানাচ্ছে, শহর ভাইরাসে ভরে গেছে। ছোঁয়া বাঁচাতে আক্রান্ত মানুষদের থেকে ছুটে পালাতে হবে। একটি গেম আবার খেলুড়েদের হাসপাতালের কর্মী সাজিয়ে হাসপাতালেরই বাস চালিয়ে ভাইরাস আক্রান্তদের পিষে মারার প্রতিযোগিতায় নামাচ্ছে!
পাবজির মতো গেম খেলায় শিশুমনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দিল্লির শিশুসুরক্ষা কমিশন। জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল মুম্বাই, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে।
আপাত নিরীহ এই সব গেম নিয়েই চিন্তায় সমাজতত্ত্বের শিক্ষক, ‘মনোরোগ চিকিৎসক থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তারা জানায়, গেমে আসক্তি থেকে অবসাদের জেরে মৃত্যুর একাধিক উদাহরণ মিলেছে অতীতে। গেমের নিয়ম মানতে গিয়ে মৃত্যুর উদাহরণও রয়েছে।’
ভারতের মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম বলেন, ‘আদতে কোনো গেমই অবসাদের কারণ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মানুষ গেম খেলার মজা হারিয়ে ফেলে যখন তার মাধ্যমে হতাশা দূর করার চেষ্টা করেন, তখনই সমস্যা হয়। লকডাউনের সময়ে সেটা হলে মুশকিল। এই ধরনের ভাইরাস গেম হিংসাত্মক আচরণকে প্রশ্রয় দেয়, সেটাই চিন্তার।’