বিদ্যুৎ বিলটি দেখে অনেকেই মাথায় হাত দেন। নিজেকেই প্রশ্ন করেন, কীভাবে এত টাকা বিল আসে? এসি না থাকলে বা ব্যবহার না করলেও কোথা থেকে এত ইউনিট পুড়ে যাচ্ছে! আপনার অজানা কিছু ভুলেও বিদ্যুতের এমন চওড়া বিল আসতে পারে। খানিকটা সতর্ক হলে তা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়। এজন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট।
সহজ কিছু কৌশলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। এবার সেগুলো জেনে নেয়া যাক—
* ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। একটানা চালিয়ে রাখলে কম ইউনিট ব্যবহার হবে।
* মোবাইল চার্জ দেয়ার পর বিদ্যুৎ লাইনের সুইচটি অফ রাখুন। কারণ সুইচ অন থাকলে কিছুটা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়।
* রোদ নেই এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখতে হবে। রোদ পুড়লে এসির আউটলেট গরম হওয়ায় বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়।
* বাতির ক্ষেত্রে সিএফএল বা এলইডি ব্যবহার করুন। সিএফএল বা এলইডিতে ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।
* বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় যন্ত্রটির স্টার রেটিংয়ে দেখুন। যে যন্ত্রের স্টার রেটিং যত বেশি তার বিদ্যুৎ খরচ ততো কম।
* ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দিনে এক ঘণ্টা বন্ধ রাখুন। এতে যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।
* ফ্রিজে কোনো খাবার রাখার আগে সেই খাবার ঠাণ্ডা করে নিন। তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
* পুরোনো তার বা ইলেক্ট্রিক যন্ত্রে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। তাই ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরোনো যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতে পারে।
* এসির তাপমাত্রা সাধারণত ২৪ ডিগ্রির নীচে না নামানো ভালো। ২৪ ডিগ্রির নীচে নামালে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
* আপনার ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রগুলো নিয়মিত সার্ভিসিং করান। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে।