অ্যাডসেন্স মানুষের মানুষের সোনার হরিণ। সেটা আমরা যারা ব্লগিং করি তারা কমবেশি সবাই জানি। তবে এডসেন্স না পাওয়ার হাজার টা কারণ থাকতে পারে। একজন ব্লগার চাইলে হাজারবার এডসেন্সে এপ্লাই করতে পারে৷ তবে যদি তার ভাগ্য ভালো না হয় তাহলে বলতেই হয় যে অ্যাডসেন্স এপ্রুভ নাও হতে পারে । তাহলে কী অ্যাডসেন্স ছাড়াও ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে আয় করার বিকল্প কোন কিছু নেই?
সেটি নিয়েই মূলত এই আর্টিকেল। অ্যাডসেন্স এর বিকল্প কি হতে পারে? কিংবা এডসেন্স ছাড়াও আপনি কিভাবে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন? তা নিয়ে এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে৷
১.অ্যাডসেন্স এর বিকল্প বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন
অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভালও বেশ কঠিন এবং তার চেয়ে বেশি কঠিন একটা টিকিয়ে রাখাটা। কোন কারণে একবার হাত থেকে ফসকে গেলে তা আর ধরা যাবে না।আচ্ছা এডসেন্স তো একটি এড নেটওয়ার্ক। তাহলে এইরকম আরও এড নেটওয়ার্ক নেই? কেন থাকবে না?
অবশ্যই রয়েছে। গুগলে ঘাটাঘাটি করলে আপনি বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক পেয়ে যাবেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই ধরনের এড নেটওয়ার্ক দিয়ে আপনি কেমন ইনকাম করতে পারবেন? এডসেন্স এর মত কি আয় করতে পারবেন না?
এডসেন্স এর মত আয় করতে পারবেন না । তবে অ্যাডসেন্সের অর্ধেক আয় করতে পারবেন৷ সে জন্য আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর থাকতে হবে । এবং এ ধরনের এড নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা এডসেন্স এর মত এত রুলস মেনটেন করে না । তার পাশাপাশি এখানে অ্যাপ্রভাল পেতে বেশি সময় লাগে না।
২.এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়:
আচ্ছা আপনি কি একটা জিনিস জানেন এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করা টা কিন্তু ব্লগারদের অন্যতম লক্ষ্য নয়। ব্লগারদের অন্যতম লক্ষ্য এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন! তবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ রয়েছে সেগুলোতে এডসেন্সকে ব্লগিং করে আয় করার প্রধান মাধ্যম
হিসেবে ধরা হয় । আসলে সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের খুব একটা প্রচলন নেই। আর বাংলাদেশের যে সকল সাইট গুলো রয়েছে তাতে ভিজিটর খুব একটা বেশি তাও বলবো না । সেজন্যই অধিকাংশ ব্লগার এডসেন্সকে তাদের আয়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। তবে আশা করা যায় যে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
৩.বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আয়:
বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে ও কিন্তু আপনিও অনেক টাকা আয় করতে পারবেন ।যদিও কোর্স বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কোর্সের গুরুত্ব গুলোকে আরো ভালোভাবে তুলে ধরা যায়। মানুষকে খুব ভালো ভাবে আকৃষ্ট করা
যায়। তবে এর জন্য আপনার সাইটের ভিজিটর থাকতে হবে । তার পাশাপাশি আপনার সাইটের কোর্স গুলি ভালো মানের হতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কোর্সের প্রতি স্বভাবতই মানুষের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে এসইও কোর্স, ওয়াডপ্রেস কোর্স ইত্যাদি।
৪.বিভিন্ন স্পন্সর এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
বিভিন্ন স্পন্সরের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পেতে হলে আপনার সাইট প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক থাকতে হবে। এবং আপনার সাইটটি অ্যালেক্সা র্যাংকিংয়ে ভালোভাবে রেংকিং করাতে হবে।
এতে ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নজরে আসে । এক্ষেত্রে আপনি বড় বড় কোম্পানির স্পনসর্শিপ পেতে পারেন তবে বুঝতে পারছে সাধারণ ব্লগারদের ক্ষেত্রে এটা বলতে গেলে খুব কঠিন। তার জন্য বেশি লোকবল এবং টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট নির্মাণ করতে হবে ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে যাতে ওয়েবসাইটটা ভালোভাবে র্যাংক করতে হবে এবং বড় বড় কোম্পানির নজরে আসে।
পরিশেষে এটুকুই বলবো, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করাটাই সবচেয়ে সহজ। এজন্য বাংলাদেশের ব্লগার অন্য কোন বিকল্প উৎসের দিকে তেমন আগ্রহী নয়। তবে আশা করা যায় ভবিষ্যতে এডসেন্স এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম গুলোতেও আয় করে সাফল্য পাবে বাংলাদেশের ব্লগাররা।