আমরা অনেকেই কম্পিউটার হিসেবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করে থাকি। আর অনেক সময় আমাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তথ্য নিয়ে যেতে হয়। এই কাজ করতে আমরা অনেকে পেনড্রাইভ ও ই-মেইল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই কাজ করতে অনেকে স্মার্ট ফোনের মেমরি কার্ড একতা ইউএসবি কার্ড রিডারে লাগিয়ে ব্যবহার করি।
আমাদের বাজারে অ্যাপাসারের ৩২ গিগাবাইট পেনড্রাইভের মূল্য ছিল প্রায় ৭৫০ টাকা আর ৩২ গিগাবাইট মেমরি কার্ডের মূল্য ছিল প্রায় ৫০০ টাকা আর একটা ইউএসবি কার্ড রিডারের মূল্য ছিল প্রায় ৩০ টাকা। তাহলে একটা ৩২ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ যার মূল্য ৭৫০ আর একটা ৩২ গিগবাইট মেমরি কার্ড একটা কার্ড রিডার সহ হলে মূল্য দাড়ায় ৫৩০ টাকা। তাহলে কোথায় ৭৫০ আর কোথায় ৫৩০।
কিন্তু তখন আমি কিছু বিষয় সম্পর্কে ভাবলে এইরকম কাজ কখনোই করতাম না। তবে সেই বিষয়গুলো কী কী জেনে নেব এবার।
ওয়ারেন্টিঃ হ্যাঁ, যদি আমি আগে জানতাম যে ওয়ারেন্টি এই জিনিসের ব্যবহারে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে আমি কখনোই মেমরি কার্ড দিয়ে পেনড্রাইভের কাজ করতাম না।একটা পেনড্রাইভে লাইফটাইম ওয়ারেন্টি থাকে আর একটা মেমরি কার্ডে ৬ মাসের। আর একটা ৩০ টাকার ইউএসবি কার্ড রিডারের ওয়ারেন্টি থাকে শাটার পর্যন্ত।মানে বাড়ি গিয়ে এক দিনের মাথায় হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিলে কোন উপায় নাই।
গতিঃ একতা মেমরি কার্ডের গতি যত বেশিই থাকুক না কেন যদি সেই কার্ড রিডারের গতি ভাল না হয় তাহলে আপনি মূল গতির কিছুই পাবেন না। আর অপর দিকে একটা পেনড্রাইভের জেনুইন গতিই পাবেন। তাই গতি জন্য কার্ড রিডার বেশ ভাল ভাবেই দায়ী।
আয়ুঃ হ্যাঁ, আয়ু। মেওমরি কার্ডের আয়ু তেমন একটা বেশি না আর কার্ড রিডার ৩ ফুট উচ্চতা থেকে পরলেই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আর একতা পেনড্রাইভ প্রায় ৬ ফুট থেকেও ফেলে দিয়ে দেখেছি কিছুই হয় নাই। এত কম আয়ু সম্পন্ন জিনিস কেনার কোন মানেই হয় না।
এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই লেখাটি শুধু কম্পিউটারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ফোনের জন্য নয়। তাই দয়া করে কেউই কম্পিউটারে পেনড্রাইভের বদলে মেমরি কার্ড ব্যবহার করবেন না।