বিনোদনের জন্য কিংবা কোনো তথ্য জানার ক্ষেত্রে ভিজুয়াল মাধ্যম বর্তমানে বেশ প্রভাব বিস্তার করছে। বিভিন্ন প্লাটফর্মের মধ্যে ইউটিউব এদিক থেকে অনেক এগিয়ে ও প্রচলিত। তবে শেয়ারিং ও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ভিউয়ারদের আকর্ষণের জন্য ভিডিও এডিট এবং বিভিন্ন ভিজুয়াল কনটেন্ট যুক্ত করতে হয়। এজন্য সফটওয়্যারের সহায়তা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস স্মার্টফোন থেকে শুরু করে উইন্ডোজ কম্পিউটার ও ম্যাকবুকের জন্যও নির্দিষ্ট কিছু এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে। যারা এসব প্লাটফর্মে কাজ করে তারা কিছু সফটওয়্যারের বিষয়ে জানলেও সবাই এ বিষয়ে অবগত নয়। তাই যারা বর্তমানে বা ভবিষ্যতে ইউটিউব প্লাটফর্মে কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাইছে বা করছে তাদের এডিটিংয়ের সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।
উইন্ডোজের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
বাসায় বা কর্মস্থলে ব্যবহারের দিক থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রচলন বেশি। পেশাদার কাজে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহারকারী পছন্দের সফটওয়্যার নির্বাচন করে। পাশাপাশি এডিটিংয়ের সময় তারা বেশি ফিচারকে প্রাধান্য দেয়।
ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা: ফিচার, বৈশিষ্ট্য, সুবিধার দিক থেকে প্রথমেই রয়েছে ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা। পেশাদার পর্যায়ে ভিডিও এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে এটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটিতে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ ফিচার রয়েছে। এ কারণে এডিটিং প্যানেলে সহজেই একাধিক ফাইল যুক্ত করা যাবে। এতে ভিডিওর বিভিন্ন অংশ কাটা, ছবি, সাউন্ড ইফেক্ট, মাস্কিং, কিফ্রেমিংয়ের সুবিধা রয়েছে। এতে স্পিড র্যাম্পিং রয়েছে, যার মাধ্যমে ভিডিও প্লেব্যাকের পাশাপাশি চরিত্রের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এর নেতিবাচক দিক হলো ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্ট্যান্ট মোডটি নেই। ট্রায়াল ভার্সনে অ্যাডভান্সড ফিচারও সীমিত।
সনি ভেগাস প্রো: ইউটিউবকেন্দ্রিক ভিডিও এডিটরদের কনটেন্ট নির্মাণ ও প্রচারণার জন্য সনি ভেগাস প্রো অন্যতম একটি সফটওয়্যার। এতে সাধারণ সফটওয়্যারের মতো ক্রপ, ট্রিম, মার্জসহ বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। সফটওয়্যারটি অডিও ফাইলকে সহজে অপটিমাইজ করতে সক্ষম। তবে এ সফটওয়্যার সহজে ব্যবহার করা যায় না এবং এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত পোর্ট্রেইট অল্টারনেটিভ নেই। এ কারণে দ্রুত এডিট করা সম্ভব হয় না।
অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো: ভিডিও এডিটিংয়ে সবচেয়ে বেশি সুবিধা বা ফিচার অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রোতে রয়েছে। ক্রিয়েটিভ ক্লাউডের সহায়তায় ব্যবহারকারীরা প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন ভিডিও প্রজেক্ট ও উচ্চমানের ফুটেজ তৈরি করতে পারবে। এতে ১০০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাও রয়েছে। সফটওয়্যারটিতে শুধু অ্যাডোবি পণ্য ও টুল ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ক্লাউডের টুলস ব্যবহারের জন্য আলাদা অর্থ দিতে হবে।