ব্যবহারকারীরা চান স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ অনেক সময় ধরে থাকুক এবং দ্রুত পুরোটা (১০০ শতাংশ) চার্জ হয়ে যাক। স্মার্টফোন নির্মাতারাও বিষয়টি মাথায় রেখে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে চার্জ দেওয়ার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—
১
স্মার্টফোনের সঙ্গে পাওয়া চার্জার বা ফোন প্রস্তুতকারী যে চার্জার সমর্থন করে, তা ব্যবহার করা। দ্রুত চার্জ করার ক্ষেত্রেও এটি উপকারী। ফোনের সঙ্গে পাওয়া চার্জার ব্যাটারি টেকসই করে। তৃতীয় পক্ষের চার্জার বা নকল চার্জার ব্যবহার করা যাবে না।
২
দ্রুত চার্জিং (চার্জ হওয়া) সাধারণ চার্জিংয়ের চেয়ে ব্যাটারিকে বেশি গরম করে। তাই ফোন সমর্থন না করলে দ্রুত চার্জ হয়, এমন চার্জার ব্যবহার না করা। দ্রুত চার্জের প্রয়োজনে পাওয়ার সেভিং ও এয়ারপ্লেন মোড অন করে নিতে পারেন।
৩
ব্যাটারির পুরো চার্জ ক্ষয় করে চার্জে না দেওয়াই ভালো। চার্জ সম্পূর্ণ শেষ হলে ব্যাটারির ভেতরে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যা ব্যাটারির জন্য খুবই খারাপ।
৪
সারা রাত ধরে চার্জ না দেওয়া। অতিরিক্ত চার্জে ব্যাটারির ভেতরে তাপ উৎপন্ন হয়, যা তড়িৎবিশ্লেষ্য সংমিশ্রণকে পরিবর্তন করে ফেলে। কিছু ক্ষেত্রে ভেতরের গ্যাস বের হয়ে যায় এবং ব্যাটারি ফুলে যায়।
৫
কিছু অ্যাপ ফোনে সব সময় চলতে থাকে। এগুলো প্রক্রিয়াকরণ এবং চলতে ব্যাটারি থেকে চার্জ টেনে নেয়। তাই অ্যাপগুলো ব্যবহার না করলে বন্ধ করে রাখতে হবে।
৬
পুরো চার্জ ক্ষয় করে যেমন চার্জে দেওয়া ঠিক নয়, তেমনি সম্পূর্ণ চার্জ করাও ঠিক নয়। ব্যাটারির ভালোর জন্য আংশিক খালি রাখতে হয়। অর্থাৎ ব্যাটারি ৮০-৮৫ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জিং থেকে খুলে ফেলতে হবে।
৭
চার্জে দিয়ে স্মার্টফোনে গেম খেলা ও ভারী অ্যাপ চালানো যাবে না। গেমস ও অ্যাপ ব্যাটারির শক্তি ক্ষয় করে, যা ফোনকে গরম করে। আবার চার্জিংয়ের কারণে তাপ তৈরি হয়। এ দুই তাপ একত্রে ব্যাটারি নষ্ট করে দিতে পারে।
৮
সূর্যের আলোর নিচে, হিটার বা ওভেনের কাছে ফোন রাখা যাবে না। ফোন গরম হলে চার্জ দ্রুত ফুরায়। একইভাবে দীর্ঘ সময় খুব ঠান্ডায় রাখা যাবে না। এতে ভেতরের তড়িৎবিশ্লেষ্য সংমিশ্রণকে শক্ত বা হিমায়িত করে ফেলে।
৯
পর্দার উজ্জ্বলতা ব্যাটারির প্রচুর শক্তি ব্যয় করে। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্তরের উজ্জ্বলতা ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাটারির শক্তি ক্ষয় কমাতে ডার্ক মোড ব্যবহার করা যায়।
১০
অ্যাপস স্মার্টফোনের লোকেশন ফিচার ব্যবহার করে। আবার সব অ্যাপ সারা দিন দরকারও পড়ে না। বিশেষ করে ঘুমানোর সময়। একইভাবে ওয়াই-ফাই, মোবাইল ডেটা ও ব্লুটুথের মতো তারহীন সুবিধাগুলো ২৪ ঘণ্টা দরকার পড়ে না। তাই প্রয়োজন না পড়লে সুবিধাগুলো বন্ধ রাখতে হবে। এতে ব্যাটারির শক্তি বাঁচবে।