কাঠফাটা রোদে জীবন অতিষ্ঠ। ঘরের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। আবহাওয়া ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। বাড়িতে গাড়িতে এসি চালিয়েও গরমের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না।
মাঝে মাঝে গাড়িতে এসি চালালেও ঠিকভাবে ঠান্ডা হচ্ছে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ কিছু উপায় আছে। যেগুলো জানা থাকলে সহজেই গাড়ির এসিকে ঠিক রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-
এসি চালু করার আগে আপনার গাড়ির ভেতরের গরম হাওয়া বের করে দিন। এজন্য গাড়ি চালানো শুরু করার আগে অল্প সময়ের জন্য গাড়ির জানালা খুলে রাখুন। এতে করে আপনার গাড়ির তাপমাত্রা কমে আসবে যার ফলে এসি দ্রুত ঠান্ডা হবে।
এসি ফিল্টার পরিষ্কার করুন নিয়মিত। এসি ইউনিট সুরক্ষিত রাখার জন্য কম্প্রেসার অয়েল নিয়মিত টপ আপ করে নিন। প্রয়োজনে দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।
গাড়ির এসি সময়মতো সার্ভিসিং করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় এমন হয়, দীর্ঘদিন গাড়ি ব্যবহারের ফলে এসির কর্মক্ষমতে কমে আসে। আবার অনেকদিন ধরে যদি গাড়ি না ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দেয়।
গাড়ির এসি নিয়মিত ব্যবহারে লিক হতে পারে। যা ধীরে ধীরে সিস্টেমে রেফ্রিজারেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাই প্রতি ছয় মাসে একবার পরীক্ষা করুন।
এসি কনডেন্সার অতিরিক্ত তাপ বের করে দিয়ে এসির রেফ্রিজারেন্টকে পুনরায় ঠান্ডা করে। ধুলা-ময়লা জমে কনডেন্সার বাতাস চলাচল করতে পারে না। তাই একবার এসি কনডেন্সার পরীক্ষা করে দেখুন সেটি পরিষ্কার আছে কি না।
ছায়ায় গাড়ি পার্ক করুন। কিংবা এমন জায়গায় গাড়ি পার্ক করার চেষ্টা করুন যেখানে সূর্যের আলো সরাসরি আপনার গাড়ির উপর না পড়ে। এর পাশাপাশি গাড়ির কেবিন যাতে ঠান্ডা থাকে তার জন্য গাড়ির জানালাগুলোকে কিছুটা নিচে রাখুন। এর ফলে কেবিনের মধ্য দিয়ে হাওয়া যাতায়াত করতে পারবে এবং ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
ইঞ্জিন কুল্যান্ট বদলে ফেলুন। অপর্যাপ্ত কুল্যান্ট থাকলে গাড়ির ইঞ্জিন রেডিয়েটর গরম হয়ে যেতে পারে। গাড়ির বনেট থেকে বের হতে পারে ধোঁয়া। ইঞ্জিন গরম হলে গাড়ির কেবিনও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তাই গ্রীষ্মকালে ইঞ্জিন কুল্যান্ট চেক করুন। প্রয়োজনে সেটি বদলে নিন। গাড়ির বয়স ৩ বছরের বেশি হলে কুল্যান্ট বদলানো জরুরি। এই কাজটি করার সময় কোনো লিক রয়েছে কি না তাও যাচাই করুন।