আয়ের দিক থেকে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর বাজারে ইন্টেলকে হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে স্যামসাং। মেমোরি চিপের শক্তিশালী চাহিদার ওপর দাঁড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওমডিয়ার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
ওমডিয়া জানায়, গত ১১ প্রান্তিকে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর জায়ান্ট ইন্টেল। মেমোরি সেগমেন্ট বিশেষ করে ডির্যাম ও ন্যান্ড সরবরাহকারী হিসেবে চাঙ্গা আয় করেছে স্যামসাং।
ডির্যাম হচ্ছে এমন সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি, যাতে ডাটা ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে যতক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে। এটি সাধারণত ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ওয়ার্কস্টেশন ও সার্ভারে ব্যবহূত হয়। ন্যান্ড ফ্ল্যাশে ডাটা সংরক্ষণে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন পড়ে না।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওমডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মেমোরি চিপ থেকে আয় আগের প্রান্তিকের চেয়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে। বাসা থেকে কাজ ও ক্লাস নির্ভরতা এ চিপের বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। সার্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতের আয়ের প্রায় ২৯ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে এ সেগমেন্ট। এ কারণে বিশ্বের শীর্ষ চার চিপ নির্মাতা কোম্পানির তিনটিই মেমোরি চিপনির্ভর কোম্পানি। সেগুলো হচ্ছে স্যামসাং, এসকে হাইনিক্স ও মাইক্রন টেকনোলজি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সেমিকন্ডাক্টর বাজারের আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৩২০ কোটি ডলার, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার প্রান্তিক ধরেই আয়ের রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর খাত।
ডির্যাম খাতে তৃতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বাজার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে এসকে হাইনিক্স ও মাইক্রনের বাজার শেয়ার ছিল যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২২ দশমিক ৭ শতাংশ। ন্যান্ড বাজারও রেকর্ড সর্বোচ্চ আয় করেছে। গত প্রান্তিকে এ খাতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারের চেয়ে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।