কাস্টমার মিট আপ শব্দ টি আমি রাজিব স্যারের কাছ থেকে শুনেছি। এটা কখনো কেউ করে নি আমার জানাতে।রাজিব স্যার এর প্রচলন শুরু করেন।আমার দেখা মতে অনেক ব্যবসায়ী দেখছি কিনবা উদ্যাোগক্তা দেখেছি তারা কখনো কাস্টমার মিট আপ করে নি। এই শব্দটাই শুনেনি। রাজিব স্যার এই তিনটি ছোট একটি শব্দ বাক্য কে এখন দারুণ জনপ্রিয় করে তুলেছে।
কাস্টমার মিট আপ সম্পর্কে আমার ধারণা জিরো লেভেলের ছিল।আমি দেখতাম কাস্টমার মিট আপের পোস্ট তখন থেকে ইচ্ছে হতো এখানে কি হয় জানার।সবাই একসাথে মজা করে।পরিচিত হয়,একে অন্যের পণ্য সম্পর্কে জানে এই বিষয় টা আমি তখন জানতাম না।
আমি প্রথম গিয়েছিলাম জয়া আপুর কাস্টমার মিট আপে।সেই দিন ই নতুন অভিজ্ঞতা হয়।রাজিব স্যার কে সামনে থেকে দেখা। তার কথা শুনার সৌভাগ্য হয়।কাকলী আপু অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনি,নিগার আপুর কথা শুনি।জয়া আপুর পরিশ্রমের কথা শুনি।সেখানে আমি কাউকেই চিনি না।কিন্তু পাশে বসে কথা বলে পরিচিত হয়ই।সবার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারি।সবাই সবার পণ্যের ছবি দেখায়।সে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমি তখন বুঝিনি।আমারও উচিত ছিল আমার পণ্য কে দেখানো।যেহেতু এটা একটা মাধ্যমে নিজের পণ্য কে পরিচয় করানো।আমি কেক নিয়ে কাজ করি। আমার সিগনেচার পণ্য জামদানী শাড়ি। এটা সবাইকে বলতে পারিনি।কারন সেটা আমার ১ম মিট আপ ছিল।আমি সেখান থেকে এটা শিখতে পারি।রাজিব স্যারের ধৈর্য্য কথা শুনেছি।স্যার সবাই কে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন পরিশ্রম করতে হবে।জয়া আপু পরিশ্রম করেছে ১ বছর তার ফল আপু পেয়েছে।অনেক অনুপ্রেরণা মূলক কথা শুনি।আমি মিট আপে না গেলে জানাতামই না এই বিষয় গুলো।
মিট আপে কিছু স্টল থাকে সেখান থেকে নিজের পছন্দ মত কিছু কিনা যায়।
মিট আপে দেলোয়ার ভাই কে দেখেছি অনেক সুন্দর করে ধৈর্য আর পরিশ্রম করে কাজ করে।একটা ইভেন্ট সুষ্ঠু মত সম্পূরন করে।
মিট আপের সবচেয়ে আকর্ষন রাজিব স্যার।রাজিব স্যার এর কথা শুনতে পারা যায় সারা দিন।এমন সুযোগ কমই হয়।যেহেতু স্যার ব্যস্ত মানুষ। স্যারের সাথে কথা বলা যায়।স্যারের সাথে ছবি তুলা যায়।একজন জ্ঞানী মানুষ কে সামনে থেকে দেখতে পারাটাই বিশাল ব্যাপার।
মিট আপে যাওয়া মানে বিয়ে বাড়িতে যাওয়া ফিল হওয়া।একজন বৌ থাকে।দেশীয় শাড়িতে।তাকে দেখা তার সাথে ছবি তুলা অন্যরকম এক অনুভূতি। যেখান থেকে আমরা জানতে পারি দেশী শাড়ি দিয়ে বৌ কে সাজানো যায়।
মিট আপে সবাই দেশীয় পণ্য পড়ে আসে।সবাইকে দেখতে সুন্দর লাগে।সেখান থেকে ধারণা নিতে পারি আমি কোন শাড়ি টা কিনবো। কোন গহনা কিনবো।
মিট আপে যওয়ার আগে ২ দিন আগে জানি রাজিব স্যার থাকবে।সেই যে মনের ভিতরে কত খুশি হয়েছিলাম।কি পড়বো কিভাবে যাবো।রাজিব স্যার কে সামনে থেকে দেখবো।২০১৮সাল থেকে সার্চ ইংলিশ গ্রুপে স্যার কে দেখতাম।২০২০ সালে রেগুলার দেখতাম উই গ্রুপে।সেই প্রিয় মানুষ যাকে না দেখে একটা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার স্থান দিয়েছিলাম।সেই মানুষ কে দেখবো।২ দিন ঘুমাতে পারি নি এইগুলো ভেবে।
এক বিশেষ অভিমান- স্যার কে দেখে ছিলাম মঞ্চে কথা বলতেছিল। কিছুক্ষণ পর স্যার মঞ্চ থেকে চলে যায় স্টলের কাছে। একটি চিয়ার নিয়ে বসে থাকে।তখন মঞ্চে ছিল কাকলি আপু, নিগার আপু।
তখন স্যারকে বলি স্যার একটা ছবি তুলি।স্যার বলে না।এখন যান মন দিয়ে কথা শুনেন কাকলি, নিগার আপু কি বলে। এখন মন খারাপ করে চলে আসি।তারপর কিছু সময় পর স্যার মঞ্চে আসে তখন দেখি অনেকে ছবি তুলে তখন বলাম স্যার ছবি তুলি।স্যার হাসেন প্লিজ, ক্যামেরা দিকে তাকান।স্যার সত্যিই হেসেছিল আর তাকিয়ে ছিল ক্যামেরার দিকে।এটা আমার কাছে পরম পাওয়া। শিক্ষাগুরু যখন ছাত্রীকে সময় দেয়।
এক বিশেষ অনূভুতি- মিট আপে আমি আমার আনাড়ি হাতের কেক নিয়ে যাই।সেটা রাজিব স্যার জয়া আপু কাটেছে।স্যার কেক কাটার সময় আমাকে ডাকেন যেহেতু আমি বানিয়েছিলাম।এতো খুশি লেগেছিল তা এখনো মনে হলে খুব ভালো লাগে। এগুলো আমার কিছু ভালো সময়।মন খারাপের সময় এগুলো আমার মন ভালো করে দেয়।
মিট আপ মানে একজন উদ্যাোগক্তা হওয়ার আর টিকে থাকার একটা পদ্ধতি। বিক্রেতার সাথে ক্রেতার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
মিট আপ এর প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে রাজিব স্যার এর হাত ধরে।মিট আপ এর জনক বলা যেতে পারে রাজিব স্যার কে।বাংলাদেশ ইতিহাসে প্রথম এমন আয়োজন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল স্যার।
আমার যাওয়া একটাই মিট আপ।আর সেটা আমার মনে থাকবে সবসময়।ইনশাআল্লাহ পরবর্তী মিট আপে অংশ নিয়ে আরও অভিজ্ঞতা লাভ করবো।
স্বত্বাধিকারী
jhinuk’s creation