মধুপুর এ রাবার বাগানে যাওয়ার সুযোগ হলে দেখতে পাওয়া যায় ছোট্ট ফ্যাক্টরির পাশে লম্বা সারি সারি বাঁশ এর উপর সাদা কাপড়ের মত কিছু শুকাতে দেয়া আছে। অদ্ভুত একটা গন্ধ আসে নাকে। সেগুলো রাবার এর শীট ।
রাবার….? বলবো আমাদের টাঙ্গাইল এর অন্যতম সম্ভাবনাময় সম্পদ, সাদা সোনা নামে খ্যাত রাবার এর কথা।
বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পণ্যের মধ্যে রাবার অন্যতম। এর সহজলোভ্যতা, বহুল ব্যবহার দিন দিন রাবার এর প্রতি নির্ভরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এর। আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান হওয়ায় রাবার নিয়ে আশাবাদী রাবার কে নিয়ে আশাবাদী অনেক আগে থেকেই। এই রাবার কে ঘীরে টাঙ্গাইল এ আছে সমূহ সম্ভাবনা কেননা বাংলাদেশে রাবার চাষে টাঙ্গাইল অন্যতম প্রধান অঞ্চল।
যুগ যুগ ধরে টাঙ্গাইল এর মধুপুর এ চলে আসছে রাবারের চাষ। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকে জানি ই না রাবার কি এবং কি কাজে লাগা আসলে রাবার।
রাবার বর্তমানে শুধু বাংলাদেশে না, পুরো বিশ্বে ই বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস। রাবার হলো অত্যন্ত মূল্যবান অর্থকারী বনজ সম্পদ যা অনেক বেশি প্রসারণক্ষমতা সম্পন্ন, স্থিতিস্থাপক এবং জলনিরোধী। প্রাকৃতিক রাবার হলো মূলত জৈব যৌগ আইসোপ্রিন এর একটি পলিমার। রাবার তৈরি হয় এক ধরণের সাদা তরল থেকে প্রাকৃতিক ভাবে রাবার তৈরি হয় এক ধরণের সাদা তরল পদার্থ থেকে, যা ল্যাটেক্স নামে পরিচিত এবং দুধের মত সাদা, ঘন ও আঠালো তরল। যা সংগ্রহ করা হয় এক ধরণের গাছ থেকে, এই গাছ ই হলো রাবার গাছ।।
এই গাছ বেশ লম্বা প্রকৃতির। পরিপূর্ণ গাছ হতে সময় লাগে মিনিমাম ৬ বছর। এরপর প্রায় ৭-৮ বছর পূর্ণ গাছ থেকে এসব গাছ এর বাকল কেটে ল্যাটেক্স নামক এক ধরনের সাদা পদার্থ বের হয়, যেগুলোকে ই রাবারের কষ বলা হয়। এই কষ সংগ্রহ করার জন্যই মূলত রাবার চাষ করা হয় এবং কষ সংগ্রহ করার জন্য যে পদ্ধতিতে গাছ কেটে কষ কালেক্ট করা হয় তাকে টেপিং বলা হয়। সঠিকভাবে টেপিং হলে অনেক বেশি পরিমাণে কষ সংগ্রহ সম্ভব৷ টেপিং পার্ফেক্টলি না হলে কষ উৎপাদন ও কমে যায় এবং গাছের অনেক ক্ষতি হয়। তাই এই ধাপটি খুব ই গুরুত্ত্বের সাথে করতে হয়। কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিৎ। যেমনঃ
◑উপযুক্ত সময় না হলে কোন গাছেই টেপিং করা উচিৎ না। কলম করা গাছ হলে কলমের জায়গা থেকে মিনিমাম ১৫০ সে.মি. উঁচুতে টেপিং করা প্রয়োজন।
◑টেপিং বাম দিক থেকে শুরু হয়ে ডান দিকে ঢালু হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ ফ্ল্যাট থাকা প্রয়োজন।
◑প্রতি মাসে ১৫ মি.মি. এর বেশি পুরো বাকল কখনোই কাটা উচিৎ না।
◑টেপিং এর সময় খুব খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে গাছের ক্যাম্বিয়াম এ আঘাত না লাগে, নাহলে নতুন কান্ড বের হতে পারবেনা।
প্রায় সারাবছর ই রাবার গাছ থেকে এই কষ সংগ্রহ করা যায়৷ তবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রাবার উৎপাদন এর ভরা মৌসুম এবং বর্ষা কালে এর উৎপাদন কমে যায়।
রাবার গাছ থেকে কষ পাওয়ার সবথেকে উপযুক্ত সময় হলো খুব ই ভোরে। আলো থাকে কিন্তু সূর্য উঠে না এমন সময়ে গাছের লেটেক্স প্রবাহ খুব বেশি থাকে। সূর্য উঠতে থাকে এবং লেটেক্স এর প্রবাহ কমে যেতে থাকে, আসলে কষ জমাট বাঁধতে থাকে তাই অবশ্যই এই সময়টি ই বেছে নিতে হয় টেপিং এর জন্য৷
সাধারণত টেপিং এর পর ৪ ঘন্টা পর্যন্ত টেপিং এর বাটিতে কষ জমতে থাকে এবং এরপর সেই কষ সংগ্রহ করা হয়। এরপর এর সাথে পানি এবং ফরমিক এসিড এর মিশ্রণ যোগ করা হয়। এরপর মিশ্রণটি এক দিনের জন্য একটি এলুমিনিয়াম পাত্রে রাখা হয় এতে এগুলো জমাট বেধে যায়৷ এরপর এগুলোকে পাত্র থেকে বের করা হয় তখন ই যখন এগুলো স্থিতিস্থাপক খামিরের মত দেখায়৷
সেই খামির গুলোকে রোলিং করে চ্যাপ্টা ও পাতলা করা হয় এবং রোদে শুকানো হয়। রোদে শুকানোর পর আবার আগুনের তাপে ধুমঘরে ড্রিপিং শেড এ শুকানো হয়। মোটকথা একটুও পানি যেন অবশিষ্ট না থাকে। এরপর এ খামির গুলোকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাবার শীট তৈরি করা হয়। আর এই শীট থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন দ্রব্যাদি তৈরি করা হয় প্রয়োজনীয় আকার দিয়ে, সেই অনুযায়ী প্রক্রিয়াজাত করে।
রাবার দিয়ে বিশ্বে এক লক্ষ বিশ হাজার এর ও বেশি জিনিপত্র তৈরি করা হয় । তার মাঝে অত্যধিক ব্যবহৃত হয় জুতা তৈরিতে, গাড়ির টায়ার তৈরিতে, বোতল, পেন্সিলের দাগ মুছা রাবার, ফোম, রেক্সিন, গাম, খেলনা, শিল্প কারখানার বিভিন্ন দ্রব্যাদি, চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, গৃহস্থালী সামগ্রী এসবে। ইভেন বাংলাদেশ এর বিএফআইডিসি উৎপাদিত কাঁচা রাবার থেকে মিনিবাস, প্রাইভেট কার, বেবি ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল, রিক্সা, বাইসাইকেল এর টায়ার, টিউব, চপ্পল, হোজপাইপ, রাবার সোল, বাকেট, গ্যাসকেট, অয়েলসিল এর মত মত ভারি ভারি জিনিসগুলো ও তৈরি হয়ে থাকে।
স্বাধীনতার আগে দেশে ১০- ১৫ টি ফ্যাক্টরি ছিলো যা এখন বেড়ে ৪০০ অধিক সংখ্যায় গিয়ে দাড়িয়েছে। রাবার কে ঘীরেই শুধু এই ফ্যাক্টরি গুলো প্রতিষ্ঠা হয়।
মালয়েশিয়া রাবার কাঠ থেকে পার্টিকেল বোর্ড, লেমেনেটিং বোর্ড, মিডিয়াম ডেনসিটি ফাইবার বোর্ড তৈরি করে বিশ্ব বাজারে রাবার শিল্প কে অন্যরকম রূপ দিয়েছে।
রাবার গাছ শুধু পণ্য প্রস্তুতির কাঁচামাল হিসেবে ই না প্রায় ৩২-৩৩ বছর পর্যন্ত কষ দেয়া এ গাছ এর পরে দেয় কাঠ৷ যদি ও আগে শুধু জ্বালানী কাজে ব্যবহার করা হতো৷ কিন্তু বর্তমানে বিএফআইডিসির কল্যাণে বাংলাদেশ রাবার শিল্পগুলোতে ট্রীটমেন্ট ও সিজনিং করার মাধ্যমে এ থেকে তৈরি হয় অনেক উন্নতমানের আসবাবপত্র। এগুলো অনেক মজবুত এবং টেকসই হয়। সেগুন কাঠের মানর মত ধরা হয় এর মান।
তবে এক্ষেত্রে আশার আলো দেখিয়েছে মৌলভীবাজার এর রাবার ট্রীটমেন্ট প্লান্ট৷ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা এ প্লান্ট থেকে রাবার গাছ প্রসেসিং করে কাঠে রূপান্তর করা হচ্ছে এবং এর বাজার দর অনেক গুণ বেশি হচ্ছে৷ এই প্লান্ট দেশের অন্যান্য রাবার বাগান এর পাশে স্থাপন করা হলে রাবার শিল্পের চেহারা ই পালটে যাবে বলে আশাবাদী অভিজ্ঞরা৷ দেশ এত পরিমাণ রাবার গাছ আছে যে এই প্রক্রিয়ায় কাঠ পাওয়া গেলে কাঠ আমদানী কমবে এবং রপ্তানি করা ও পসিবল হবে৷
স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশে ১০-১৫ টির মত রাবার কারখানা ছিলো, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০০ র বেশি।
রাবারের যেমন বহুল ব্যবহার তেমনি রাবার গাছ পরবেশের ভারসাম্য ও রক্ষা করে। রাবার শিল্প যেহেতু অনেক শ্রমঘন তাই এখানে কাজ করে বেশিরভাগ অশিক্ষিত এবং অর্ধ শিক্ষিত শ্রমিক এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান উপত্যকা হলো রাবার গাছের আদি নিবাস৷ এখান থেকে বিভিন্নভাবে এর চারা ছড়িয়ে পরে অনেক দেশে। তবে এ গাছ থেকে যে এই কষ বের হয় এবং তা প্রক্রিয়াজাত করা এসব কিছু আবিষ্কার করে সিংগাপুর৷
বাংলাদেশ এ প্রথম রাবার চারা আনা হয় কলকাতা বোটানিক্যাল হতে ১৯১০ সালে। পরবর্তী তে ১৯৫৪ সালে টাংগাইল এর মধুপুরে, চট্টগ্রামের হাজেরিখিল এবং পঞ্চগর ওর তেতুলিয়াতে পরীক্ষামূলক চারা রোপন করে। এরপর ১৯৬২ সালের পর বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন এর নিকট বাণিজ্যিক ভাবে রাবার চাষের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সময়ে ই টাংগাইল এর মধুপুরে ও এর বনায়ন করা হয়। ১৯৮০ -৮১ সাল থেকে বিএফআইডিসি উচ্চ ফলনশীল রাবার চারা রোপন শুরু করে এবং ১৯৯৭ সালের মধ্যেই চট্টগ্রাম, সিলেট ও মধুপুর এ ১৩২০৭ হেক্টর জমিতে ১৬ টি রাবার বাগান তৈরি হয়েছিলো৷
বর্তমানে দেশে ১৩০৪ টি শুধু বেসরকারি উদ্যোগ এ ই রাবার বাগান আছে এবং ৩,৮৬০০০ টি রাবার গাছের মধ্যে ২ লক্ষ গাছ রাবার উৎপাদনশীল। টাংগাইল এ বর্তমানে ৭০০০একর এর ও বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছে রাবার এর গাছ, রাবার গাছের সংখ্যা ও দেড় লাখের উপরে। সরকারি ১৮ টি রাবার বাগানের মধ্যে ৫ টি ই টাংগাইল ময়মনসিংহে জোনের অবস্থিত। এত বড় জায়গা মিলে রাবার গাছ মানে এটি আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সম্ভাবনা। অনুর্বর পতিত জমিতে জন্মে এবং পাহাড়ি এলাকায় এর চাষ ভালো হয় বিধায় টাঙ্গাইল মধুপুর এর দিকে এর রয়েছে অনেক অনেক সম্ভাবনা।
২০১২ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতি বছর ৩% হারে রাবারের চাহিদা বেড়ে চলছে। কিন্তু সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবধান হয়ে যাচ্ছে ৭% হারে। যার কারণে বিশাল পরিমাণ রাবার বাহির থেকে আমদানি করতে হচ্ছে৷
রাবারের ব্যপক চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ আমাদের দেশে উৎপাদিত রাবার থেকেই মেটানো সম্ভব হলে ও এর থেকে বেশি পরিমাণ রাবার আমদানী করা হয় ,কেননা রাবার আমদানীতে আমদানী শুল্ক একেবারেই কম, নামমাত্র বলা চলে। অপরদিকে আমাদের দেশেই উৎপাদিত রাবার কৃষি পণ্য হলে ও এতে ভ্যাট বসানো হয় ১৫%, আয়কর ৪ টাকা। এদিকে বিপুল পরিমাণ আয়কর এর জন্য অনেক সময় বাগান মালিকরা তথ্য গোপণ ও করছে। এ কারণে আমাদের দেশের রাবার শিল্পে ধ্বস নেমেছে। যে পরিমাণ শ্রম যায় শ্রমিক রা সেই পরিমাণ টাকা পায়না জন্য এদিকে আসতে ও চায়না, মালিকদের সবদিক থেকে বিপাকে পরতে হয়। এক সময় সাদা সোনা বলা হতো এই শিল্পকে ৮০ র দশকে সরকারি তরফ থেকে অনেক উৎসাহ ও প্রদান করা হয় এই শিল্পের উন্নয়নে কিন্তু এখন উপর মহলের উদাসীনতার কারণে এই শিল্পের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে যাচ্ছে।
তবে এই শিল্পের দিকে নজর দিলে একে নিয়ে অনেক দূর এগুনো সম্ভব যার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রকট। কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে অনেকের। এক্ষেত্রে আগেকার সনাতন পদ্ধতি পরিহার করে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে কেননা রাবার তৈরির এ প্রক্রিয়া আসলে শ্রমস্বাপেক্ষ।। রাবার প্রসেসিং এর জন্য প্রসেসিং প্ল্যান্ট করা প্রয়োজন। এতে অবশ্যই রাবার এর উৎপাদন বাড়বে এবং কোয়ালিটি ও বাড়বে৷ আবার রাবার এর সাথে পাওয়া যাবে মূল্যবান কাঠ ও। রাবার চাষ কে লাভজনক করতে অনেক মালিক তাদের বাগানের চারপাশে ফলদ গাছ, এবং বাগানের ভেতরেই হাঁস মুরগি, গরু ছাগলের খামার তৈরির পরিকল্পনা করছেন এবং যেটা আসলেও সম্ভব। এতে অনেক দিক থেকে আয় করা সম্ভব৷
রাবার বাগান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ শিল্প উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং রূপকল্প প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এই রূপকল্পের ১ম অধ্যায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলেই আশা রাখছেন মালিক সমিতি এবং এর মাধ্যমে বর্তমানের তুলনায় তিনগুণ রাবার উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা রাখেন এবং এর ফলে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে ও দুইশ কোটি টাকার রাবার রপ্তানি সম্ভব হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মহলের কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সঠিকভাবে টেপিং এর জন্য ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, অনেক কষ বা রাবার শীট চুরি হয়ে যায় এর জন্য প্রোপার মনিটরিং বাড়ানো প্রয়োজন, অবশ্যই প্রয়োজন টেকনোলজিক্যাল উন্নতি, ম্যানুয়ালি শ্রমসাধ্য এবং উৎপাদন এর পরিমাণ ও কমে যায় সময়ের তুলনায়।
রাবার গাছ পরিবেশবান্ধব যা অন্যান্য গাছের তুলনায় তিনগুণ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বৈশ্বায়ন এর এ যুগে রাবার চাষ করে ক্ষতিকারক কার্বণ এর পরিমাণ কমানো সম্ভব। দেশে রাবার চাষের মাধ্যমে দ্রুত বনায়ন সম্ভব, এর ফলে ভূমি ক্ষয় যেমন রক্ষা পাবে তেমনি এর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান বাড়লে তৈরি হবে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান। বর্তমানে রাবার উৎপাদন এ শীর্ষদেশ ইন্দোনেশিয়া যেখানে এ শিল্পের পিছনে দেয়া হয় অনেক সরকারি সহযোগিতা যা আমাদের ও কাম্য। আমাদের দেশের রাবার শিল্প হতে পারে আমাদের দেশের জন্য সোনালি সম্ভাবনা যদি আমাদের দেশের তৈরি রাবার এর রপ্তানি বাজার তৈরি করা সম্ভব হয় এবং রাবার এর কর কমিয়ে আমদানী রাবার এর গ্রহণযোগ্যতা কমানো যায়৷
ই-কমার্স এর মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি হলে তা ছড়িয়ে দেয়া যায় দ্রুত কেননা এখন ইন্টারনেট এর যুগ। এই শিল্প অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে যদি যথোপযুক্ত উদ্যোগ নেয়া যায়।