চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা ফেনী। ফেনী জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর।এই জেলার মধ্য দিয়ে কয়েকটি নদী বয়ে গিয়েছে,ফলে এর কৃষি জমি বেশ উর্বর।এর কারণে জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর।কৃষি নির্ভরতার পাশাপাশি এর অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রার ওপরেও নির্ভর করে ।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্থিক অন্তর্ভুক্ত সূচীতে ফেনী জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এ জেলার প্রধান নদী ছয়টি। ফেনী নদী, মুহুরী নদী, ছোট ফেনী নদী, কালিদাস পাহালিয়া নদী, কহুয়া নদী ও সিলোনিয়া নদী।
কৃষি নির্ভর জেলা হওয়ার কারণে এই জেলায় বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ হয় সারাবছর ধরে। এর মধ্যে ডাল এর উল্লেখযোগ্য চাষ বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ডাল চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কৃষিনির্ভর ফেনী। ডালজাতীয় ফসল মুগ, মটর, মসুর, মাসকলাই, খেসারী, ছোলা, ফেলন সহ ইত্যাদি ডালের জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে। চাহিদা বাড়ার ফলে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ডালচাষে।
ফেনীতে অনেক পতিত জমিতে ডাল জাতীয় ফসল ব্যাপক আবাদ হয়। ডাল জাতীয় ফসল উৎপাদন করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে এসব ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক কম এবং এতে কৃষকদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
কৃষি পর্যায়ে উন্নত জাতের ডাল, তেল, মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের আওতায় চলতি মৌসুমে কৃষকদেরকে ডাল জাতীয় ফসল আবাদে উৎসাহ যোগান দেওয়া হয় কৃষি বিভাগ থেকে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি প্রদর্শনী ও কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। শুধু সদর উপজেলার দশ হেক্টর জমিতে ছোলা আবাদ হয়। ২০১৮ সালের মৌসুমে মসুর ডাল লক্ষমাত্রা ছিল এক হাজার দুইশো আঠারো হেক্টর।যা পরবর্তী মৌসুমে বেড়ে এক হাজার সাতশো আটাশ হেক্টরে নির্ধারিত হয়।
প্রতিটি উপজেলায় ডাল চাষীদের আগ্রহ এবং ডাল জাতীয় ফসলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে প্রতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হচ্ছে। সদরের পাশাপাশি ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঁইয়া ও সোনাগাজীতেও ডালের চাষ হচ্ছে।
ফেনীতে চাষ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ডাল জাতীয় ফসল উৎপাদন আগের তুলনায় ভাল হতে থাকবে এবং এ ক্ষেত্রে কৃষকদের উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। খরচ পুষিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের পাশাপাশি বীজ বিক্রি করেও বাড়তি টাকা আয় করতে পারবে কৃষকরা।