কবুতর এর কথা মনে হলেই মাথায় প্রথমেই যা আসে তা হলো কবুতর শান্তির প্রতীক। শান্তির পায়রা আকাশে উড়িয়ে অনেক জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতেই শুভ সূচনা করা হয়৷ শান্তির প্রতীক হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাবে ই স্বীকৃত কবুতর৷ একটা সময় গ্রামে ভোর হলেই কবুতর এর শব্দ শোনা যেত। এখন শহরগুলোতে ও কবুতর ঘরে কিংবা ছাদে ই তাদের জায়গা করে নিচ্ছে তা যেমন সৌখিনতা থেকে তেমনি রুজি রোজগার এর পথ হিসেবেও।
কবুতর নিয়ে যা ই বলিনা কেন শুরুতেই কিন্তু চলে আসে যে কবুতর একসময় ডাকপিয়ন এর কাজ করতো। কবুতর ছিলো চিঠি আদান প্রদান এর অন্যতম বাহক। কিন্তু কোথায় থেকে শুরু কবুতর এর এ কাজ তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
খুব বেশি জোড় দিয়ে যা তথ্য পাওয়া যায় তা হলো মানুষ এবং কবুতর এর পৃথিবীতে আসার সময়কাল প্রায় একই হবে৷ ১০০০০ বছর পূর্বে মানুষ যখন নব্যপ্রস্তর যুগে চাষাবাদ শুরু করে এবং গৃহপালিত পশুপাখি পালন শুরু করে তখন থেকেই শুরু হয় কবুতর পালন। প্রায় ৩০০০ বছর আগেও তৎকালীন ইরাকে কবুতর এর ছবি পাওয়া গেছে। এমনকি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ বছর পূর্বেও ইরাকে মাটির তৈরি শিল্পকর্ম কবুতর এর উল্লেখ পাওয়া যায়৷
আর একটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয় যে নূহ (আঃ) এর সময়ে আমরা সবাই জানি যে বন্যা হয়েছিলো। সে বন্যায় ভেসে গিয়েছিলো সব ই৷ অনেকদিন পর বন্যার পানি নেমে গিয়েছে কিনা তা জানার জন্য কবুতরকে পাঠানো হয়। একটা সময়, একাদশ শতাব্দীর দিকে বাগদাদে যেকোন খবর আদান প্রদান এর বাহক ই ছিলো কবুতর৷ ইভেন চেঙ্গিস খাঁ এত বড় রাজ্যের খবর ও রাখতেন কবুতর দিয়ে৷ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও কবুতর ছিলো অন্যতম বাহক। এভাবে প্রতিটা যুগ এর সাথেই সন্ধান পাওয়া গেছে কবুতর এর।
কবুতর এর জাত এর কোন নির্দিষ্টতা নেই। রঙ, বৈশিষ্ট্য, গুণ, আচরণ, বিভিন্ন কিছুর উপর ভিত্তি করে অনেক ধরণের জাত এর কথা উল্লেখ পাওয়া যায় । পৃথিবীতে প্রায় ১১০০ প্রজাতির কবুতর আছে যার মধ্যে বাংলাদেশে আছে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জাতের কবুতর।
NPA ( National Pigeon Association) এর মতে বাংলাদেশ এর সব জাত গুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ
১. দেশী জাতের কবুতর
২. গিরিবাজ বা হাইফ্লায়ার
৩. ফেন্সি জাতের কবুতর
৪. রেসার
১. দেশী জাতের কবুতরঃ
গোলা, দেসি গিরিবাজ, জালালি বিভিন্ন রকম এর কবুতর এর জাত আছে আমাদের দেশে৷ এদের পোশ মানানো খুব ই সহজ এবং যত্ন ও। অনেক সময় নিজেদের খেয়াল খুশিতে মুক্ত হয়ে ও কিছু জাত বাস করে৷
২. গিরিবাজ বা হাইফ্লায়ার জাতের কবুতরঃ
এ জাতের কবুতর এর উৎপত্তি ভারতে। তবে ভারতে হলেও হাইফ্লায়ার এর জন্য পাকিস্তান এর জাত সবথেকে বিখ্যাত। আমাদের দেশেও কিছু জাত আছে। যেমনঃ বাঘা, চুইনা, কাগজি, দোবাজ, কালদম, চিলা, নাপতা, বাবরা, রাজশাহী গিরিবাজ, সুন্দরী, মাকসি, সাহারান পুরি, পাংখি, আলীওয়ালা, দেওয়ান ওয়ালা, কাসুরি, কাসনি প্রভৃতি।
৩. ফেন্সি জাতের কবুতরঃ
সারা পৃথিবীতে প্রায় ফেন্সি জাতের কবুতর ই আছে ৫০০ জাতের৷ আমাদের দেশেও এখন বেশ পপুলারিটি পাচ্ছে এ জাত। অনেকেই ফেন্সি জাতের খামার গড়ে তুলছেন। এদের মধ্যে কিছু জাত হলো ফ্যানটাইল, জ্যাকোবিন, ফ্রিলব্যাক, লাহোর, ট্রামপেটর, স্ট্যারলিং, ফ্রিল পিজন, পোটার, পলিস, হেলমেট, নান সহ আরো অনেক।
৪. রেসারঃ
রেসার, নামেই বুঝা যায় যে এদের উদ্ভব ই হয়েছে রেসিং এর জন্য। অনেকেই তাই শখ করেই এ জাতের কবুতর পালে। রেসিং এবিলিটির জন্য এরা নন-স্টপ উড়তে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা। অনেক বেশি শক্তিশালী এ জাতের কবুতর৷ এদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এরা নিজেদের বাড়ি চিনে চলে আসে। বাংলাদেশে মূলত দশ জাতের রেসিং কবুতর পাওয়া যায়। যেমনঃ মিলি ব্লু-বার, ব্লু চেকার, ব্লু-বারলেস, হোয়াইট, ব্ল্যাক, রেড বার, রেড বারলেস, গ্রিজেল।
আমাদের পুরো দেশে ই কবুতর পালন করা হয় অনেক অনেক বছর আগে থেকে। কবুতর পালন কম কষ্ট ও সময় দিতে হয় কম, তাই অনেকেই মেইন কাজের সাথে বিকল্প আয় এর পথ হিসেবেও এটি পালন করছেন এবং দিন দিন তা বেড়েই যাচ্ছে। সাধারণত মুক্ত পদ্ধতি, খাঁচায় বা ঘরে উন্মুক্ত রেখেও কবুতর পালন করা যায়। এর জন্য ঘরে বা বাহিরে কিংবা চালের কাছাকাছি ছোট কাঠ, বাঁশ ব টিনের ছোট্ট ছোট্ট ঘর করা হয়ে থাকে। যেহেতু সব সময় এরা জোড়া কবুতর একসাথে থাকে তাই এদের ঘরগুলো ছোট ছোট ই হয়ে থাকে।
খুব কম দিনে ডিম থেকে বাচ্চা হয়। প্রায় ১৮ দিন। ২ মাসের মধ্যেই এগুলো খাওয়ার উপযুক্ত হয়। অনেক সময় একমাস পরেই বিক্রি করা হয়৷ একজোড়া কবুতর থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ জোড়া কবুতর পাওয়া সম্ভব৷ ৫ থেকে ৬ মাস পরেই এরা আবার নিজেরাই ডিম দেয়া শুরু করে৷ যার কারণে ব্যবসার উদ্দেশ্যে হলে এগুলো বেশ সুবিধাজনক।
খাবারের ক্ষেত্রে এদের ধান, গম, ভূট্টা, যব, খেসারি, সরিষা, চাল, চালের ক্ষুদ এসব দিলে এসব ই খায়৷ তবে মুক্ত পদ্ধতিতে কবুতর ছেড়ে দিলে এরা উড়ে উড়ে পোকামাকড় বা অন্যকিছু খেয়ে থাকে৷ এছাড়া অবশ্যই বয়স অনুযায়ী খাবার এর চার্ট ফলো করলে বেশ ভালো৷ প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন জাতীয় খাবার সরবরাহ করতে হয়৷ বাচ্চা কবুতর এর জন্য ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশ ভালো৷ চুনাপাথর, হাঁড়ের গুড়ো, লবণ, শামুকের খোলস এসবের মিশ্রণ খুব ভালো কার্বোহাইড্রেট এর যোগান দেয়৷ অবশ্যই পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে, গরমে এদের প্রচুর পানি লাগে৷
রোগ বালাই কম হয়, তবে হ্যা কিছু কমন রোগ হতে পারে, রোগ হলেই এদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো হয়ে গেলে ঘাটতি পূরণ করতে স্যালাইন দিতে হয়। অবশ্যই ভ্যাকসিন দিতে হয়।
কবুতর আমরা জানি যে সব যুগেই ছিলো তা শখেই হোক কিংবা ইনকাম এর উদ্দেশ্যেই হোক৷ দুই এর সমন্বয়ে এখন কবুতর নিয়ে কাজ করার উদ্যোক্তা বাড়ছে৷ টাঙ্গাইল এ শুধু গ্রাম না শহর এলাকায় ছাদে কিংবা ফ্ল্যাট এর একটা রুমেই কয়েকটি খাচা কিনে অনেকেই সহযোগী ইনকাম এর পথ তৈরি করছেন এবং অনেকে শখেও পালছেন। প্রচুর সম্ভাবনাময় এই সেক্টর নিয়েই কথা হচ্ছিলো কবুতর খামারি রাজিব মাহমুদ এর সাথে।।।
রাজিব পিজন টাঙ্গাইল, নামেই তার কবুতর এর খামার টি। টাঙ্গাইল এর সাগরদিঘী নিজ বাড়িতেই তার এই খামার টি তিনি গড়ে তোলেন। অফলাইন এ যেমন জেলা ইভেন দেশ এর অনেক জায়গা থেকে তার কাছে মানুষ আসে কবুতর সম্পর্কে জানতে, পরামর্শ নিতে, তেমনি অনলাইন এ ও আছে তার ব্যবসার প্রসারতা। অনলাইন এ ও খুব ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছেন বলেই তিনি জানিয়েছেন।
তার এই উদ্যোগ এর শুরু তার ভালোলাগার জায়গা থেকে৷ খুব ছোট বয়স থেকেই তিনি কবুতর ভীষণ ভালোবাসতেন৷ খুব চাইতেন নিজের কবুতর হবে, যার জন্য বাবা মায়ের কাছে বায়না ও করতেন কেউ ই রাজী হননি৷ তারপর ও ছোট বেলায় ই ঈদ সালামীর টাকা বাঁচিয়ে এক জোড়া কবুতর কিনেছিলেন, যদিও ছোট বয়স, পড়াশুনা আর বাসার কেউ যেহেতু পছন্দ করতেন না তাই টিকিয়ে রাখতে পারেন নি সেই কবুতর নিয়ে পথচলা।
বড় হলেন, বাবার বিজনেস এ বসলেন, সুযোগ পেলেন ছোট বেলার শখের জিনিস নিয়ে কিছু একটা করার৷ শুরু ও করলেন। ২০১৫ সালে মাত্র ৩ জোড়া রেসার কবুতর নিয়ে তিনি তার এই ভালোলাগার জায়গার যাত্রা শুরু করেন। আস্তে আস্তে এর টেক কেয়ার, যত্ন, প্রয়োজন হলে ট্রীটমেন্ট সব ই নিজেই বুঝতে শুরু করলেন এবং বাড়াতে থাকলেন এর পরিধি৷ কিছুদিন পর তিনি বুঝলেন যে ফেন্সি কবুতর গুলো দেখতে অনেক বেশিই সুন্দর৷ এরপর তিনি সৌন্দর্যে ভরপুর ফেন্সি কবুতর পালনে মন দিলেন। প্রথমের দিকে তিনি ২ বা ৩০০০ টাকার ফেন্সি কবুতর দিয়েই শুরু করলেন।
আসলে শুরুর দিকে রিস্ক নিতে চায়না কেউ ই। এরপর নিজের উপর নিজের কনফিডেন্স বাড়তে শুরু করলো এবং তিনি উপলব্ধি করলেন যে কম দামী কবুতর এর যেমন খরচ, বেশি দামী কবুতর পালনে ও তাই৷ এরপর শুরু করলেন দামী কবুতর কালেকশন। বিভিন্ন জেলায় যারা ইম্পোর্ট করেন তাদের থেকে কালেকশন শুরু করলেন যা এখন প্রায় সংখ্যায় ২০ টি জাতে গিয়ে পৌছেছে। তার খামারে যেসব ফেন্সি জাত আছে তার প্রাইস ১৫ থেকে ৬০০০০ টাকা মূল্য৷ টোটাল ১৫০ জোড়ার অধিক কবুতর আছে এখন তার সংগ্রহে।
তার কাছে আছে ড্যানিশ, কুবার্গ লাক, লাহোর সিরাজি, মুর হেড, বিউটি হুমা, বারানবার, বাশিরাজ কোকা, ব্লু পটার, টাম্বপিটার, বুখারা, এরাবিয়ান টাম্বপিটার, হল্যান্ড জেকোবিন, আমেরিকান সো কিং, লাল বোম্বাই, করমনা৷ ইন্ডিয়ান লোটন, রেন, সাদা বিউটি হুমা, সাদা লক্ষা, সাদা ফিলব্রেক, আমেরিকান লক্ষা, রেসাএ, ইষ্টেচার, ঝর্ণা সার্ডিং,ছোয়া চন্দন সহ আরো কিছু প্রজাতির কবুতর৷
তার মতে ভালো কোয়ালিটির লাহোর বা ফেন্টাইল এর চাহিদা সব সময় বেশি। খুব ই ভালো প্যারেন্টিং এদের৷ ডিম ফুটে বাচ্চা হবার হার ও বেশি।
রাজিব মাহমুদ এর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কবুতর এর সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি বলেন যে প্রচুর সম্ভাবনা। সময় দিতে হয়না তেমন তাইনেই সেক্টর এর পাশাপাশি অনেক কাজ ই করা যায়। শিক্ষিত বেকারদের জন্য অনেক ভালো একটি অপশন বলেই তিনি মনে করেন। আমাদের দেশে অনেকেই বিদেশ ফেরত শ্রমিক আছে যারা দেশে এসে কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে দিন পাড় করেন, কিংবা অনেকেই বেকার অবস্থায় থাকতে থাকতে খারাপ কাজের সাথে জড়িয়ে পরেন তাদের সবার জন্যই আশার আলো হতে পারে কবুতর। এমনকি এখনকার বাচ্চারা ও এক বাসা বা বাড়িতে থাকতে থাকতে গ্যাজেট এ আসক্ত হয়ে পরে, খেলার মাঠ কিংবা গ্রামে ঘুড়ে বেড়ানোর অপশন পায়না জন্য বাসায় বসে বসেই মন মেজাজ এ বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করে, কবুতর যেহেতু ফেন্সি বার্ড, তাই এসব থেকেও মুক্তি দিতে পারে সকলকে। কারণ এই জায়গাটি যেমন আয়ের পথ হতে পারে তেমনি শখ ও ভালো সঙ্গী ও। তবে হ্যা ই-কমার্স এ ট্রান্সপোর্ট এর সামান্য ঝামেলা হলেও বেশি বেশি উদ্যোগ নিয়ে এই ঝুঁকিগুলো থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
শুধুমাত্র রাজিব মাহমুদ না, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেই আছে এমন কবুতর খামারি। এমনকি আমাদের দেশে এখন গড়ে উঠেছে কবুতর এর সংগঠন। যার নাম হলো ন্যাশনাল পিজন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ৷ যেখানে দেশী বিদেশী বিভিন্ন জাতের কবুতর ক্রয় বিক্রয়, তাদের লালন পালন এবং খামারিদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়। বছর ঘুড়ে জাতীয় পর্যায়ের কবুতর এর প্রদর্শনীও হয়। টাঙ্গাইল এ কবুতর খামারি আছে অনেক এবং টাঙ্গাইল জেলা পর্যায়েও তাই আছে এই সংগঠন এর শাখা, যেখানে কবুতর এবং এর উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে সব খামারি সদস্যরা৷
তাছাড়া বাংলাদেশে এখন অনেক কবুতর এর ব্রিডার ফার্ম আছে যারা অনেক প্রজাতির ব্রিড নিয়ে কাজ করেন। এর ফলে সেখান থেকে কালেকশন করা ও সহজ হয়। তাছাড়া গত বছর থেকে কবুতর রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমাদের দেশ থেকে অলরেডি কবুতর রপ্তানি সম্ভব হয়েছে জর্ডান, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করেন কবুতর খামারিরা। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতি তে ভূমিকা রাখবে।
কবুতর এর মাংস অনেক টেস্টি এবং পুষ্টিকর। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। ডাক্তাররা ও বিভিন্ন কারণে কবুতর এর মাংস সাজেস্ট করেন। বিশেষ করে বাচ্চা কবুতর এর চাহিদা অনেক বেশি। এটি উৎপাদন খরচ কম, সময় লাগে কম, খাবার নিয়েও ঝামেলা নেই , যত্ন নিলে রোগ বালাই কম হয়, উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। এর সাথে যদি আরো কিছু সুযোগ এর কথা বলি তাহলে বলতেই হয় যে কবুতর এর বর্জ্য অনেক ভালো মানের সার হিসেবে বিবেচিত হয়, কবুতর এর পালক এর ও আলাদা বাজার রয়েছে যা দিয়ে তৈরি হয় অনেক খেলনা, গয়না সহ অনেক কিছুই৷
সব মিলিয়ে কবুতর যেমন আমাদের বিনোদন এর জায়গা, তেমনি কবুতর আমাদের গৃহপালিত পাখি, কবুতর শখ হতে পারে, হতে পারে এক্সট্রা ইনকাম সোর্স। কবুতর পালন করে সফল উদ্যোক্তার সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক। তাই এই জায়গাটা অবশ্যই আমাদের অনেক বড় ধরণের সম্ভাবনা হতে পারে।
এই ক্ষেত্র গুলোকে সকলের সামনে তুলে ধরলে, সবাই জানলে আগ্রহী হবে আরো অনেক মানুষ। অনেকেই কর্মসংস্থান এর উৎস হিসেবে বেছে নিয়ে তাদের স্বচ্ছলতা আনতে পারে, বেকারত্ত্ব কমাতে পারে৷ ই-কমার্স এর মাধ্যমে পুরো দেশ এমনকি বহির্বিশ্বের সাথে কন্টাক্ট রাখাটা সহজ এবং সাপ্লাই চেইন ও খুব ই সহজ। ই-কমার্স এ এর আলাদা বাজার গড়ে উঠার সম্ভাবনা প্রচুর। এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের যারা এই সেক্টরগুলোকে আকড়ে ধরে খুব ভালো কিছু করতে পারবে। অবশ্যই প্রচারণা ও খুব বেশি প্রয়োজন, তবেই এই ক্ষেত্রগুলোতে আগ্রহী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।