চট্টগ্রাম জেলা, কক্সবাজার জেলা, রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি,বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলা সহ এই অঞ্চলের একটি পরিচিত চালের নাম বিন্নি চাল।
এটি মূলত পাহাড়ের জুমে চাষ এবং সমতলের ধানীখেতে চাষ হয়ে থাকে, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক উপজেলায়, কক্সবাজার জেলার নানান জায়গায় সহ পাহাড়ে (জুম চাষ) চাষাবাদ হয়ে থাকে।
এই চাল সমতলের তুলনায় জুমের গুলো বেশি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়। বিন্নি চাল প্রধানত পাহাড়ীদের কাছে জনপ্রিয় হলেও সমতলের মানুষজন পিঠা ও অনান্য আনুষঙ্গিক উৎসবে ব্যবহার করে থাকেন।
ভালো মানের বিন্নি চালের জন্য রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজার, বনরুপা বাজার, কলেজগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, এই চালের প্রধান বিক্রেতা পাহাড়ী নারীরা, তাদের কাছে প্রধানত তিন রকমের বিন্নি চাল পাওয়া যায় যা সাদা,কালো, এবং লাল বিন্নি চাল ।
তাছাড়া তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় কালো বিন্নি চাল অন্য চালের তুলনায় বেশি চলে, এছাড়াও লাল সাদা মিশ্র বিন্নি চাল পাওয়া যায়।
চালের মান অনুসারে দাম হয়ে থাকে। তবে খুচরাভাবে কেনা বিন্নি চাল সমতল বাজারের তুলনায় পাহাড়ি বাজারে কম দামে পাওয়া যায় ।
বিন্নি চালের ভাত মূলত অন্য চালের তুলনায় আঠালো এবং সুস্বাদু যার কারণে অনেক ভিন্ন হয় সাধারণ ভাতের তুলনায়। এছাড়াও বিন্নি চালের আতিক্কা পিঠা এই অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়, কলা পাতা দিয়ে মুড়িয়ে এই পিঠা বানানো হয় বিভিন্ন উৎসবে। এই চালের ভাত দুধ ও মধু মিশিয়ে খাওয়ার মধ্য আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়।
এই চাল দিয়ে এই অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় মধুভাত তৈরী করা হয় যা সব বয়সী সকলের কাছে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করলো।
এছাড়াও পাহড়ী অঞ্চলে বাঁশের চোঙার ভেতর নারিকেল কুচি দিয়ে রান্না করা বিন্নি ভাত অনেক জনপ্রিয় যা পাহাড়ী রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিলেই পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ কথা হলো ই-কমার্সের বাজারে বিন্নি চালের কথা, স্বাদ এবং মান তুলে ধরতে পারলে এই চাল অধিকভাবে সকল অঞ্চলে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে এই চাল উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মতামত পোষণ করেছেন ।