মাইক্রোসফটের হলোলেন্সের পর এবার অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজারে আগমন ঘটছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল ইনকরপোরেশনের। আইফোনের সঙ্গে কাজ করবে, এমন একটি এআর হেডসেট তৈরির পরিকল্পনা করছে তারা। ২০২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই এ ধরনের ডিভাইসের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে অ্যাপল। বিখ্যাত অ্যাপল বিশ্লেষক মিং শি কু এমনটিই ধারণা করছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, অ্যাপল ডিভাইস নির্মাতারা বর্তমান পেটেন্টের ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করছে ‘অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এনভায়রনমেন্টে মিথস্ক্রিয়ার জন্য সিস্টেমস, মেথডস ও গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস’। এ হালনাগাদটি ২০১৮ সালের আগস্টে প্রকাশ করা হয়।
অ্যাপলের এআর গ্লাস মূলত ব্যবহারকারীর পকেটে থাকা আইফোনের সঙ্গে তারহীন যোগাযোগ স্থাপন করবে। গ্লাসের ডিসপ্লেতে সংশ্লিষ্ট আইফোনের নানা কার্যক্রমই শুধু দেখা যাবে। গত শুক্রবার নিউজ পোর্টাল নাইন টু ফাইভ অ্যাপলের এআর হেডসেট সম্পর্কে এমন ধারণাই দিয়েছে।
তাছাড়া পেটেন্টে উল্লেখিত শিরোনাম আরো ধারণা দেয়, অ্যাপল এআরভিত্তিক এমন একটি হেডসেট বানানোর পরিকল্পনা করছে, যেটি আইফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এমন একটি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে কম্পিউটার ইমেজ বাস্তব জগতের নানা বস্তুর সঙ্গে উপরিপাতন করবে।
পেটেন্ট থেকে আরেকটি বিষয় বোঝা যায়, হেডসেটটি তারহীনভাবে আরেকটি ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, যেটি অ্যাপলের একটি কাস্টম প্রসেসরচালিত হবে। এ ডিভাইসে একটি স্পর্শকাতর ইন্টারফেস রাখারও চিন্তাভাবনা করছে অ্যাপল।
নিউজ পোর্টালটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এআর ডিভাইস দিয়ে বাজারে বড় ধরনের একটি আলোড়ন তুলতে চায় অ্যাপল। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ যদি উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়, তাহলে ২০২০ সালেই পণ্যটি ভোক্তাদের হাতে তুলে দিতে চায় তারা।
গত মাসে বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি-২০১৯) মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট সাড়ে ৩ হাজার ডলার মূল্যের হলোলেন্স-২ প্রদর্শন করে। এ ধরনের মিক্সড রিয়েলিটি হেডসেট তৈরিতে এরই মধ্যে তিন বছর পার করে ফেলেছে মাইক্রোসফট। নতুন ডিভাইসটির মাধ্যমে বাস্তব জগতের বস্তুর সঙ্গে হলোগ্রাফিক ইমেজের সরাসরি মিথস্ক্রিয়া সম্ভব।