লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার কামানখোলা হরেন্দ্র বাবুর বাড়িটি অন্যতম প্রাচীন জমিদার বাড়ি। রায়পুরের ক্ষেত্রনাথ রায় বাহাদুর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে কয়েকটি তালুক কেনেন। জমিদারি তদারকির সুবিধার্থে তারা পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের কামানখোলা বাজার থেকে আধা কিলোমিটার উত্তরে এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন এ বাড়ির সামনে দ্বিতল ঠাকুর ঘর, সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে গেলে চোখে পড়ে প্রাসাদ। বর্তমানে সেই জমিদারি না থাকলেও জায়গায় খসে পড়া জরাজীর্ণ দালালগুলো প্রাচীন জমিদারের ক্ষতচিহ্ন বহন করছে। এখানে একসময় হাতি, ঘোড়া সবই ছিলো কিন্তু বর্তমানে হাতি না থাকলেও মৃত হাতির দাঁত এখনো আছে।
এই জমিদার বাড়ির অভ্যন্তরে ভূ-গর্ভস্থ কক্ষে নৃত্য ও শালিসী দরবার ছিলো বলে লোক মুখে আজও শোনা যায় ।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্ব নিয়ে লক্ষ্মীপুর আগত জন ফিনির এর কুঠি বাড়ি এক ঐতিহাসিক নির্দশন যা সাহাপুর সাহেব বাড়ি নামে পরিচিত!
তৎকালীন সময়ে এ বাড়িতে জন ফিনি সপরিবারে থাকতেন। এর পাশেই রয়েছে আরেকটি বাড়ি যা আটচালা বাড়ি নামে পরিচিত এবং এটিতে থাকতেন জেমস ফনি।
আটচলা( জেমস ফনির) বাড়িটি এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত জন ফিনির পুত্র জন ফিনি জুনিয়র এবং তার পৌত্র রিচার্ড ডিক ফিনি কুঠি বাড়িতে ছিলেন। জন ফিনির বংশধরদের কাছ থেকে বাড়িটি ক্রয় করেন ডা. উপেন্দ্রনাথ। ডা. উপেন্দ্রনাথ এর পুত্র উমাকান্ত এম.বি.বি.এস পাশ করে এসে এ বাড়িতে প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। ডা. উমাকান্ত বৈদ্যুতিক জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতেন। লক্ষ্মীপুরে এটিই বিদ্যুৎ এর ব্যবহার।
এ বাড়িটি লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত ইংরেজ আমলের একটি উল্লেখযোগ্য নির্দশন।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় অবস্থিত শায়েস্তা নগর জমিদার বাড়ি, কিন্তু বর্তমানে বাড়িটি আর অক্ষত নেই। পরগনায় শায়েস্তা নগরের জমিদার প্যারীলাল রায় বাহাদুরের দানশীলতার কথা আজও মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। বর্তমানে বাড়ির সামনে পুকুর এবং ভগ্নপ্রায় শান বাঁধানো ঘাট, মন্দির জমিদারের স্মৃতি বহন করছে। এটি রায়পুর উপজেলার রায়পুর পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড এর শায়েস্তা নগর গ্রামে অবস্থিত।