মার্কিন সেলফোন অপারেটর ভেরাইজন আগামী মাসেই ফাইভজি সেবা চালুুর ঘোষণা দিয়েছে। এর পরই দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিগত নানা বাধা সত্ত্বেও দেশটির স্থানীয় টেলিকম কোম্পানিগুলো দ্রুত ফাইভজি চালুর তোড়জোড় শুরু করেছে।
গত বুধবার ভেরাইজন এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী ১১ এপ্রিল শিকাগো ও মিনিয়াপোলিসের কিছু এলাকায় তারা ফাইভজি সেবা চালু করবে। এ সেবায় ফোরজি সেবার চেয়ে ভোক্তাদের মাসে ১০ মার্কিন ডলার বেশি ব্যয় করতে হবে বলেও জানানো হয়। খবর কোরিয়া হেরাল্ড।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকস জানিয়েছিল, তারা আগামী ৫ এপ্রিল ফাইভজি মোবাইল সেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে। ফলে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস১০ স্মার্টফোন অপারেটর কোম্পানি এসকে টেলিকমের সঙ্গে ফাইভজির পরীক্ষা চালাবে। এতে সফল হলে সাধারণ ভোক্তাদের এ সেবা বাজারে ছাড়া হবে।
একই সঙ্গে দেশটির সর্ববৃহৎ মোবাইল ক্যারিয়ার হিসেবে এসকে টেলিকমকে ফাইভজি সেবার মূল্য ঘোষণার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। যদিও সম্প্রতি এ বিষয়ে এসকে তাদের সম্ভাব্য মূল্যের জন্য অনুমতি চাইলে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও ভোক্তাদের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করে ফেলতে পারে উল্লেখ করে নাকচ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
ফলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইভজি সেবা চালুর বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন পর্যবেক্ষকরা। একই সঙ্গে স্যামসাং ও এলজি ফাইভজি স্মার্টফোনের প্রদর্শনী করলেও স্মার্টফান নির্মাতারা ডিভাইসের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফাইভজি সেবা চালু বিষয়ে সম্প্রতি দেশটির সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটিমন্ত্রী চুং সুং বে বলেন, ফাইভজি স্মার্টফোন বহু আকাঙ্ক্ষিত, তবে এর নিরাপত্তা ও গুণগত মান রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ফাইভজি ওয়্যারলেস টেকনোলজি উন্নয়নে আহ্বান জানিয়েছেন।