রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা দূর করার দাবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে কমলাপুর স্টেশনে ৭ জুলাই থেকে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
রেলের সুবিধার অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সহজ ডট কমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
২০ জুলাই বুধবার সকালে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে ১২ দিন ধরে অবস্থান করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির খোঁজ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিরসনে ৬ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। এর আগে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বাইরে প্রধান সড়ক থেকে দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে তিনি রেল ভবনের দিকে লং মার্চ শুরু করেন।
রনির ৬ দফা দাবি হলো-
১. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেইসঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন জানান, যারা বলেছিলেন সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ভোক্তায় অভিযোগ করা যায় না বা যারা হতাশ ছিলেন এ বিষয়ে, তাঁদের জন্য আশার বাণী শোনাচ্ছি। রেলের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনি অনলাইনে টাকা কেটে নিয়ে টিকিট না পাওয়ায় ভোক্তায় অভিযোগ করেছিলেন রেলের বিরুদ্ধে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজ এই অভিযোগের কারণে “সহজ ডট কম”কে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। ধন্যবাদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ধন্যবাদ ভোক্তার ডিজি শফিক জামান মহোদয়কে।
মানুষের অধিকার আদায়ে ভোক্তার কাজ আরো শক্তিশালী হোক এই কামনা করছি। টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে পারেননি, টিকিট কেটে সিট পাননি, সিট পেলেন তো স্ট্যান্ডিং যাত্রী বা বিনা টিকিটের যাত্রীর চাপের কারণে টয়লেটে যেতে পারেননি, স্টেশনে এসে দেখলেন কোচ নেই, ট্রেন নেই…………… ইত্যাদি বিষয়ে নির্দ্বিধায় অভিযোগ করুন ভোক্তায়।সুদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ। রনির সাথে অনেকবার কথা বলেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এরকম জেনারেশনই আমরা চাই। এই দেশটাকে সুন্দর করতে দরকার তোমাদের। মশালটা দিতে চাই তোমাদের হাতেই।.