বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম নদী বন্দর হিসেবে ২৫ বছর উদযাপন করেছে ভারতের আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন মুন্দ্রা বন্দর। গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে ১৯৯৮ সালের ৭ অক্টোবর এমটি আলফা নামের প্রথম জাহাজ নোঙর ফেলার পর থেকে বার্ষিক ২৬০ মিলিয়ন টন (এমএমটি) সক্ষমতার এ বন্দর এর ধারাবাহিক যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুন্দ্রা বন্দর একটি ‘মাল্টিমডাল হাবে’ পরিণত হয়েছে। যাত্রার শুরু থেকেই এ বন্দর নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। গত ২৫ বছরে রাজ্য সরকার ও জাতীয় কোষাগারে এর অবদান প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা, যা ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে। এছাড়াও, প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে মুন্দ্রা বন্দর।
এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “আমার কাছে মুন্দ্রা বন্দরের চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এটি সমগ্র আদানি গ্রুপের জন্য সম্ভাবনার দিগন্তের সূচনা করেছিল। ২৫ বছর আগে, যখন আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম, আমরা এমন একটি বাতিঘরের স্বপ্ন দেখেছিলাম যা ভারতের অগ্রযাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের স্বপ্ন শুধু মুন্দ্রার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা আমাদের এ পথচলায় আস্থা রাখা দেশের প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। রজত জয়ন্তীতে মুন্দ্রা দূরদর্শিতা, দৃঢ়তা ও ঐক্যবদ্ধতার এক বিস্ময়কর প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পরিচালক (সিইও) ও হোল টাইম ডিরেক্টর (ডব্লিউটিডি) করণ আদানি বলেন, “বিশ্বমানের এক পরিকাঠামো হিসেবে মুন্দ্রা আজ নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। মাত্র ২৫ বছরে আমরা এর বহুমাত্রিক রূপান্তরের সাক্ষী হয়েছি। এটি বর্তমানে ভারতের এক্সিম গেটওয়ে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি অসাধারণ গ্লোবাল হাব হিসেবে অবদান রেখে চলেছে। আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, ভারতের উন্নয়নে মুন্দ্রার মতো একটি শক্তিশালী অনুঘটক তৈরি করতে আমরা সফল হয়েছি এবং আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, আমাদের যাত্রা সবে শুরু হলো।”
১৯৯৮ সালে চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বেসরকারি বৃহত্তম বন্দর হিসেবে মুন্দ্রা বন্দর সর্বোচ্চ ১৫৫ মিলিয়ন ম্যাট্রিক টন হ্যান্ডেল করে, যা ভারতের সামুদ্রিক কার্গোর প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া, ভারতের ৩৩ শতাংশ মালবাহী কনটেইনার চলাচলের এক্সিম গেটওয়ে হিসেবেও কাজ করে ৩৫ হাজার একরের এ বন্দর।