পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আর চাপের মাঝেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরান। সামরিক ও বেসামরিক ক্ষেত্রে উন্নত লেজার প্রযুক্তি বিকাশে দেশটি বর্তমানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে ইরান এখন আর পিছিয়ে নেই, বরং বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলোর কাতারে পৌঁছে গেছে।
স্বদেশে তৈরি উন্নত লেজার অস্ত্র
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নত লেজার অস্ত্র ব্যবস্থা (Laser Defense System) তৈরি করেছে। এই অস্ত্র ড্রোন ও ক্ষুদ্র আকারের ফ্লাইং অবজেক্ট ধ্বংসে কার্যকর। শুধু তাই নয়, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার রেঞ্জফাইন্ডার, টার্গেটিং সিস্টেম এবং যোগাযোগে ব্যবহৃত অপটিক্যাল প্রযুক্তিতেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটিয়েছে ইরান।
বেসামরিক খাতেও ব্যাপক ব্যবহার
শুধু সামরিক নয়, চিকিৎসা, শিল্প, কৃষি ও গবেষণা—বিভিন্ন বেসামরিক খাতে লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইরান। বিশেষ করে, লেজার সার্জারি ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি তৈরিতে দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
তরুণ বিজ্ঞানীদের অবদান
ইরানের প্রযুক্তি অগ্রগতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে দেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে চলছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লেজার রিসার্চ। ইরান ইতিমধ্যেই পারমাণবিক গবেষণাতেও লেজার এনরিচমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
নিষেধাজ্ঞা নয়, অনুপ্রেরণা!
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বাধা নয়, বরং উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে ইরান। নিজেদের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণে দেশটি স্থানীয়ভাবে গবেষণা ও উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে, যার ফলেই এতো দ্রুত লেজার প্রযুক্তিতে তারা এগিয়ে যেতে পেরেছে।
আঞ্চলিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা
ইরানের এই অগ্রগতি শুধু প্রযুক্তিগত নয়, বরং ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেজার প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইরান এখন মধ্যপ্রাচ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।