লক্ষ-কোটি বছর আগে আমাদের এই পৃথিবীতে বিচরণ করতো বিশাল সব প্রাণী, যাদেরকে আমরা ডাইনোসর হিসেবেই জানি এখন। সে সময় মানুষ ছিল না। ছিল বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল সব ডাইনোসর।
তবে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ প্রয়াসে এবার আবিষ্কৃত হলো, ইতিহাসের সবচেয়ে ছোট্ট ডাইনোসর। এটি দেখতে কেমন, এর আকার কেমন ছিল জানেন?
মাত্র দুই ইঞ্চি লম্বা, পাখির মতো দেখতে ছিল ছোট্ট ওই ডাইনোসর। বর্তমানের মিয়ানমারে সেই ৯৯ মিলিয়ন বছর আগে বিচরণ ছিল এই ক্ষুদে ডাইনোসরের। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ওকুলুডেন্টাভিস খাউনগ্রে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট পাখি কিউবার বী হামিং বার্ডের চেয়েও আকারে ছোট ছিল ওই ডাইনোসর পাখি। আকারে ছোট হলেও এই ডাইনোসর পাখি ফুলের নির্যাস নয়, বরং কীটপতঙ্গ খেয়েই বেঁচে থাকতো।
বিজ্ঞানীরা মিয়ানমারে এই ক্ষুদে ডাইনোসর প্রজাতির একটি পাখির মাথার ফসিল আবিষ্কার করে রীতিমতো চমকে উঠেছেন। প্রাকৃতিকভাবে খুব ভালোভাবে সংরক্ষিত এই ফসিল দেখে তারা বলছেন- ছোট ছোট ১০০টির মতো দাঁত সহ কোটি কোটি বছর আগের এই প্রাণিটির জীবাশ্ম দেখে মনে হচ্ছে, এটি যেন গতকালই মারা গেছে! গাছের বাকলের নির্যাস প্রাণিটির মাথার উপর পড়লে সেটি মারা যায় ও সেভাবেই তার মাথাটি প্রকৃতিতে জীবাশ্ম হয়ে রয়ে যায়। ছোট্ট এই ডাইনোসর পাখিটির ওজন এক আউন্সের কম ছিল, বেঁচে থাকলে একে আপনার হাতের তালুর উপরেই বসাতে পারতেন আপনি।
এই আবিষ্কার যারা করেছেন, সে গবেষকদের প্রধান চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সের গবেষক জিংমা ও কনোর বলেছেন, ‘আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি এটি দেখে। এটি খুবই অদ্ভুত। আমরা এর আগে এমন কিছু দেখিনি।’ ওকুলুডেন্টাভিস নামের এই ক্ষুদে ডাইনোসর পাখির চোখ বেশ বড় ছিল, অনেকটা বর্তমানের গিরগিটির মতো। এই আবিষ্কারে বিবর্তনের মাধ্যমে পাখি কিভাবে উদ্ভব হলো, তা জানতে পারবেন বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।