সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের ক্যামেরায় এমন অদ্ভুত জিনিস ধরা পরল যা অবাক করে দেবে গোটা মানব সমাজকে। জাপানের এক বিজ্ঞানী এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলেছেন যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে ওটা সোশ্যাল মিডিয়াতে। গাছেদের প্রাণ আছে সেটা সবাই জানে কিন্তু তারা মানুষের মতো কথাবার্তা বলতে পারে এমনটা কখনোই শোনা যায়নি। ঠিক এরকমই এক অদ্ভুত কথোপকথন নিজের ক্যামেরায় বন্দি করেছেন এই বিজ্ঞানী। গাছেরাও নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা (Plant Communication) বলে, গল্প করে এমনকি বিপদের আভাসও দেয়। এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে।
অভাবনীয় এই আবিষ্কার (Plant Communication) করেছেন জাপানের কয়েকজন বিজ্ঞানী। কে কে ছিল সেই দলে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে। বিজ্ঞানীদের এই দলে ছিলেন মলিকিউলার বায়োলজিস্ট থেকে শুরু করে পোস্ট-ডক্টোরাল রিসার্চার, পিএইচডি-রত পড়ুয়া প্রভৃতি। পরীক্ষাটিকে সফল করার জন্য বিজ্ঞানীরা যে পদ্ধতিটি অবলম্বন করেছিলেন সেটি হল, বিজ্ঞানীরা একটি এয়ার পাম্পকে দুটি কৌটোর সঙ্গে যুক্ত করেন। একটিতে ছিল শুঁয়োপোকা আর টমাটো গাছের পাতা। অপরটিতে আরাবিডপসিস থাইল্যাঙ্কা নামে এক ধরনের আগাছাজাতীয় উদ্ভিদ। শুঁয়োপোকাগুলোকে পাতা আর আগাছা খেতে দেন বিজ্ঞানীরা।
ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা আবার আরাবিডপসিস থাইল্যাঙ্কা প্রজাতিরই অন্য একটি আগাছার প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করতে শুরু করেন। দ্বিতীয়টি অবশ্য ছিল পোকাহীন। এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একটি বায়োসেন্সর। দেখা যায়, তার সবুজ আলো জ্বলে উঠেছে। পাশাপাশি সেন্সরে ধরা পড়েছে ক্যালসিয়াম আয়নের অস্তিত্বও। কি কাজে লাগে এই ক্যালসিয়াম আয়ন জানুন বিস্তারিত।
মানব কোষ যখন সংযোগ (Plant Communication) করতে চায় তখনই ব্যবহার করে এই ক্যালসিয়াম আয়নকেই। অর্থাৎ এটি সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বিজ্ঞানীদের ক্যামেরাতে যে নয়া আবিষ্কার ফুটে উঠেছে তা হলো ‘গাছেদের কথা বলার’ ভিডিও। দ্বিতীয়টিতে অবশ্য কোন পোকা ছিল না। প্রথমটি ছিল ‘আহত’ কারন শুঁয়োপোকা সেটি খেয়েছে। গাছটির থেকে বিপদ সংকেত পেয়েছে। সেই সংকেত বার্তা পাওয়ার পরপরই জ্বলে উঠেছে সেন্সরের সবুজ আলো এবং ক্যালসিয়াম আয়নের অস্তিত্ব ধরা পড়া।
এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিজ্ঞানীরা দাবি করেছে যে, পৃথিবীতে বহু গাছ আছে যারা কীটপতঙ্গ বা অন্য কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হয়, তারা বাতাসে ‘ভিওসি’ তথা ‘ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড’ নিঃসরণ করে। যে গাছটি সুস্থ, তারা প্রতিবেশী আক্রান্ত গাছটি থেকে ‘ভিওসি’ গ্রহণ করে সতর্ক হয়। এটাই গাছেদের আন্তঃসংযোগ বা নিজেদের মধ্যে কথা বলা (Plant Communication)। যা প্রথমবার ক্যামেরাবন্দি করলেন জাপ বিজ্ঞানীরা।