বাংলাদেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবার আওতা বাড়ার সাথে সাথে সমান তালে বেড়েছে উচ্চক্ষমতাযুক্ত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন। দেশের বাজারে ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা পূরণের দৌড়ে পিছিয়ে নেই প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। বিশ্ববাজারে সম্প্রতি অপো নিয়ে আসে এই মুহুর্তের সবচেয়ে আলোচিত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজ ‘অপো রেনো’। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সাথে মিল শীঘ্রই দেশের বাজারে ‘রেনো’ সিরিজের দুটি স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে অপো বাংলাদেশ। কেনো বিশ্বজুড়ে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জগতে অপো রেনো এই মুহূর্তের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়? চলুন জানা যাক এই সিরিজের কিছু ফিচার যে কারণে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রেনো।
১। দুর্দান্ত গ্লাস ডিজাইন
কথায় আছে আগে আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি। শুরুতেই অপো রেনোর যেদিকটি সবার নজর কাড়বে সেটি এর চোখ ধাঁধানো ডিজাইন। অপোর এই ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের দু’টো ফোনের পেছন দিকেই থাকছে দুর্দান্ত গ্লাস ডিজাইন। ম্যাট না গ্লসি এই নিয়ে দ্বিধা থেকে মুক্তি দিতেই রেনো সিরিজ তৈরি হয়েছে ম্যাট এবং গ্লসি ফিনিশিং- এর সমন্বয়। শুধু যে দেখতেই দারুণ তাই নয়, এর বাঁকানো কিনারার জন্য এটি ধরতেও বেশ সুবিধাজনক।
২। বেজেল বিহীন প্যানারোমিক ডিসপ্লে
অপো রেনোর ডিসপ্লে কোন প্রকার নচ ছাড়া এবং এর বেজেল বা কিনারা একেবারেই সরু। ফলে, বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোনের মাঝে সর্বোচ্চ ৯৩.১% বডি-টু-ডিসপ্লে রেশিওর ফোন এটি। বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বড় ডিসপ্লে। আর এই চাহিদা পূরণে ফোনের আকার হাতে ধরার উপযোগী রেখেই বিশালাকার ডিসপ্লে নিশ্চিত করার কাজটি নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম হয়েছে অপো। অপো রেনোতে থাকছে ৬.৪ ইঞ্চি ফুল-এইচডি প্লাস অ্যামোলেড স্ক্রিন এবং এতে থাকছে ৪০৩ পিপিআই যুক্ত ২৩৪০×১০৮০ পিক্সেল স্ক্রিন আর রেনো ১০এক্স জুম ফোনটিতে থাকছে ৬.৬ ইঞ্চি ফুল-এইচডি প্লাস অ্যামোলেড স্ক্রিন এবং ৩৮৭ পিপিআই যুক্তি ২৩৪০*১০৮০ পিক্সেলের ডিসপ্লে।
৩। সেলফি ক্যামেরা স্থাপনে শার্ক-ফিন সদৃশ রাইজিং প্ল্যাটফর্ম
স্মার্টফোন স্ক্রিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আকার নিশ্চিত করতেই রাইজিং সেলফি ক্যামেরা প্ল্যাটফর্ম উদ্ভাবনে সবার চেয়ে এগিয়ে অপো। রেনো সিরিজের রাইজিং প্ল্যাটফর্ম ডিজাইনে অপো ছাড়িয়ে গেছে নিজেকেই। ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করা মাত্রই ফোনের ওপর দিক থেকে মোলায়েমভাবে বেরিয়ে আসে হাঙ্গরের পাখনা সদৃশ একটি ক্যামেরা প্ল্যাটফর্ম। মাত্র ০.৮ সেকেন্ডেই বেড়িয়ে আসা এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে এফ/২.০ অ্যাপারচার যুক্তি ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। ক্যামেরা ছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মে থাকছে ইয়ারপিস এবং অন্ধকারে ছবি তুলতে একটি সফট ফ্ল্যাশ-লাইট।
৪। ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ১০এক্স লস-লেস জুম
অপো রেনো এবং রেনো ১০এক্স জুম এর সবচেয়ে দারুণ দিক স্বল্প আলোতেও দারুণ ছবি তোলার উপযোগী ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সিস্টেম। অপো রেনোতে ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম থাকলেও রেনো ১০এক্স জুমে রয়েছে ১০এক্স লস-লেস জুম সমৃদ্ধ ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম। এতে যেমন থাকছে পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স তেমনি থাকছে একটি ওয়াইড লেন্স এবং আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। ফলে, কাছে কিংবা দূরে সাবজেক্ট যেখানেই থাকুক টেলিফটো লেন্স যেমন সাবজেক্টকে নিয়ে আসে একেবারে ফোনের কাছে তেমনি এর আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স কাছ থেকেই বিশাল পরিসরের দৃশ্য ধারণ করতে পারে সাবজেক্টের একেবারে কাছ থেকেও।
৫। ফ্ল্যাগশিপ মানের স্পেসিফিকেশন
অপো রেনোর যে ডিজাইন, ক্যামেরা আর ডিসপ্লেই সেরা তাই নয়, রেনোকে শক্তিশালী করতেই এতে থাকছে ফ্ল্যাগশিপ ফোন হবার উপযুক্ত সকল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্পেসিফিকেশন। রেনো ১০এক্স জুম ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে এতে থাকছে ৭ ন্যানোমিটার কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫। থাকছে ৮ গিগাবাইট র্যাম ও ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ। অপো রেনোতে থাকছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭১০ চিপসেট, ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ।
দেশের বাজারে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের বাজারে গ্রাহক টানতে প্রতিটি ব্র্যান্ডের যে তুমুল প্রচেষ্টা, এরই মাঝে বাজারে অপো রেনো এবং রেনো ১০এক্স জুম নিয়ে আসবার মাধ্যমে নিজেদের বেশ শক্ত প্রতিযোগীতেই পরিণত করলো অপো। রেনো সিরিজের ফোনগুলোতে থাকা প্যানারোমিক স্ক্রিন, আল্ট্রা-থিন বেজেল, দুর্দান্ত ক্যামেরা এবং শক্তিশালী চিপসেট গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পুরোপুরিভাবেই পূরণ করতে সক্ষম হবে।