রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে তিন দিনের ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’। মেলার দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ ছিল দেশে উদ্ভাবিত বিভিন্ন রোবট নিয়ে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রযুক্তিবান্ধব মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসে প্রদর্শনীতে। এ ছাড়াও নানা শ্রেণীপেশার মানুষরাও ভিড় জমাচ্ছেন ডিজিটাল পণ্য এবং তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখতে।
প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতেই রোবটের দেখা মেলে। এমন রোবট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো প্রদর্শনী জুড়ে। এসব দেখতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব বয়সীদের ভিড়। মেলার অন্যতম আকর্ষণ দেশে উদ্ভাবিত এসব রোবট। যারা এই রোবট বানিয়েছে তারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। লি, মাইশা, আরমিনা, আলপনা, টিভেট নামের রোবটগুলো দশনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এ ছাড়াও মেলাতে ড্যান্সিং রোবটের নাচ দেখতে অনেকে ভিড় করছেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় এই প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত।
মেলার দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হয় ‘ইন্ডাস্ট্রি লিডার সামিট’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। আইসিটি খাতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি মুদ্রা আয়ের পরিমাণ যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন খাত ধরে তাদের খুঁজে এনে উদ্দীপনা দিতে বিডা ও আইসিটি বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আবিষ্কারে নারী নেতৃত্ব নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ শিল্প বিল্পবের শিক্ষা, ডিজিটাল নিরাপত্তার সুবিধা ও প্রতিক‚লতা, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের হার্ড শিল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ, রোবট শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।
বিকাল থেকে শুরু হয় কনসার্ট। সেখানে অংশ নেয় আর্টসেল এবং নেমেসিস গান পরিবেশন করে। সেখানে তারুণ্যের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনও রয়েছে। এ ছাড়াও প্রযুক্তিপণ্য কেনা যাচ্ছে এক্সপো থেকে। প্যাভেলিয়ন এবং স্টলে নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্যের সমাহারে সাজানো হয়েছে।
মেলা ঘুরে এবং আয়োজকদের থেকে জানা যায়, মেলায় দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য ও উদ্ভাবনকে প্রাধান্য দিয়ে শীর্ষ নতুন উদ্যোগ খুঁজে পেতে মেলার আগে মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচারমূলক কার্যক্রম চালানো হয়। সেখান থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন প্রদর্শিত হয় মেলায়। আর প্রদর্শনী শেষ হলে তরুণদের শীর্ষ ১০ উদ্যোগকে ১০ লাখ করে মোট ১ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দেয়া হবে।