ফাইভ-জি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ৬জি-এর খবর নিয়ে হাজির চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ভিভো। মূলধারায় ৫জি স্মার্টফোন আসার আগেই ৬জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত স্মার্টফোন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখনো ৬জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নিয়ে কারও তেমন ধারণাই নেই। এর মান কী হবে, কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। তবে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভিভো ৬জির লোগোর পেটেন্ট করিয়ে রাখছে।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিসে ওই পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে ভিভো।
যখন ৬-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে এবং ভিভোর স্মার্টফোন বাজারে ছাড়া হবে, তখন ওই লোগোটি ভিভো স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগেভাগে বাজার ধরতে এবং প্রচারের জন্য ভিভো ৬জি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
চীনের আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বর্তমানে ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা চালাচ্ছে। হুয়াওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের আগে ৬জি চালু করা সম্ভব হবে না।
ভিভো সম্প্রতি চীনের বাজারে ৫জি সুবিধার ফোন নেক্স থ্রি উন্মুক্ত করেছে। ৬ দশমিক ৮৯ ইঞ্চি মাপের ওয়াটারফল ডিসপ্লেযুক্ত ফোনটিতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ প্রসেসর, ইন স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সুবিধা রয়েছে।
পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে এগিয়ে থাকতে চীন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংহাইয়ের একটি জেলায় ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করতে যাচ্ছে দেশটি। বর্তমান ৪-জি নেটওয়ার্কের তুলনায় ৫জি নেটওয়ার্কে ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যাবে।