ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেটবিহীন জীবন আজকাল কল্পনাই করা যায় না। ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। যেমন: অনেকে ডেক্সটপ ও ট্যাবের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, অনেকে আবার স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইদানীংকালে মোবাইলফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যবহারকারীরা যেসব সমস্যায় পড়েন তার মধ্যে চার্জের সমস্যা অন্যতম। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের অ্যাপ মোটামুটি সবার স্মার্টফোনেই থাকে। অ্যাপটি বারবার ‘রিফ্রেশ’ হওয়ায় ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। টুইটার অ্যাপটির মাধ্যমেও ফোনের চার্জ বেশি খরচ হয়।
মোবাইল ফোনে গেম খেলতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা আজকাল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে গেম খেলার সুবিধা থাকলেও গেমাররা স্মার্টডিভাইসের মাধ্যমে গেম খেলতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। রাস্তায় চলতে ফিরতে একটু চোখ কান খোলা রাখলে দেখা যায় বাসে বসে কেউ ‘কল অব ডিউটি’ বা ‘নিড ফর স্পিড’ খেলছেন। কোন আড্ডার আসর থেকে ভেসে আসে ‘দোস্ত পাবজি খেলা শুরু করছি।’ সবাইকেই সমান আনন্দ দিতে পারে চমৎকার এই গেমগুলো। তবে ব্যাটারির চার্জ খরচ করতেও এই গেমগুলোর জুড়ি মেলা ভার। চমৎকার গ্রাফিকসের এই গেমগুলো ব্যাটারির চার্জ খরচ করে দ্রুত।
গেমার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করে মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বাজারে নিয়ে শক্তিশালী ব্যাটারিসমৃদ্ধ মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন। তবে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য একধাপ এগিয়ে আছে স্যাসমাং। কেননা বিশ্বসেরা এই ব্র্যান্ডটি ইতিমধ্যে দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির মিড রেঞ্জ বাজেটের ফোন গ্যালাক্সি এম৩০এস, যা নিঃসন্দেহে নতুন একটি মাইলফলক। এছাড়া স্যামসাংয়ের ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারিসমৃদ্ধ সব স্মার্টফোন। এগুলোর মধ্যে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের গ্যালাক্সি এ৫০এস এবং গ্যালাক্সি এ৩০এস।
এছাড়া, মিড রেঞ্জ বাজেটের মধ্যে হুয়াওয়ের রয়েছে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফোন ওয়াই৯এস। অপোর রয়েছে ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফোন এ৯ ২০২০, যার মূল্য ২৪,৯৯৯ টাকা। শাওমি’র রেডমি নোট ৮ প্রো ডিভাইসটি ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিসমৃদ্ধ, যার মূল্য সংস্করণভেদে ২৪ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকার মধ্যে।
পরিশেষে বলা যায়, যাঁরা মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিংবা যাঁদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম (ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, মেসেঞ্জার) সক্রিয় থাকতে হয় এবং যাঁরা মোবাইলে গেম খেলতে পছন্দ করেন তাঁদের মোবাইলের চার্জ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দিন শেষ। কেননা এই সব ব্র্যান্ডের মিডরেঞ্জ বাজেটের ফোনগুলো তাঁদের জন্য নিয়ে এসেছে শক্তিশালী ব্যাটারির স্মার্ট ডিভাইস।