এ বছরের শেষ দিকে ‘আইফোন ১২’ বাজারে ছাড়তে পারে অ্যাপল। এটি হবে ফাইভ-জি সমর্থিত স্মার্টফোন। সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন মডেলের ফাইভ-জি আইফোন কিনতে খরচ হতে পারে ১ হাজার ডলারের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল ইভস এমন তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার বলছে, ড্যানিয়েল ইভসের পূর্বাভাস সত্যি হলে স্মার্টফোন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের সুবিধা সম্পন্ন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম আরোপের যে ট্রেন্ড চলছে সেটি পরিবর্তন করবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল ইভস তার এক সাম্প্রতিক রিসার্চ নোটে লিখেছেন, আইফোন ১২ -এর চারটি মডেল বাজারে আসবে বলে আমরা ধারণা করছি। এগুলোর মধ্যে ফোর-জি ও ফাইভ-জি দুই ধরনের ডিভাইসই থাকবে। ফাইভ-জি সক্ষমতার আইফোনের ক্ষেত্রেও দাম ১ হাজার ডলারের নিচে হতে পারে।
২০১৯ সালে তুলনামূলক কম দামে আইফোন বাজারে ছাড়ার নীতি গ্রহণ করে অ্যাপল। এরপর থেকে বিভিন্ন আলোচনা ও পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, নতুন আইফোনের দাম বেশ কম হবে। প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা জনপ্রিয় ইউটিউবার জন প্রসারের মতে, পরবর্তী আইফোনের দুটি মডেল বাজারে আসবে। এরমধ্যে ৫ দশমিক ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের ভার্সনটির দাম ৬৫০ এবং ৬ দশমিক ১ ইঞ্চিটির দাম হতে পারে ৭৫০ ডলার।
আইফোন ১২ -এর সবকটি মডেল ফাইভ-জি প্রযুক্তির হবে কি না সেটি নিয়ে কথা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, নতুন আইফোনের সব মডেলই ফাইভ-জি প্রযুক্তির হবে। তবে ফোর-জি ও ফাইভ-জি মিলিয়েই আইফোন-১২ বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল ইভস।
অ্যাপলের ফাইভ-জি ফোন তুলনামূলক কম দামে পাওয়া গেলে বাজারে সেটি সাড়া ফেলবে। অ্যাপল যদি ১ হাজারের ডলারের কম দামে ফাইভ-জি প্রযুক্তির ফোন বাজারে ছাড়ে তাহলে বেশিরভাগ ক্রেতা আইফোনের দিকে ঝুঁকতে পারে। কারণ, অন্য ফাইভ-জি স্মার্টফোনগুলোর দামও আইফোনের কাছাকাছি হবে।
প্রসঙ্গত, স্যামসাংয়ের ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস২০ -এর সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ডলার। মটোরোলা এজ প্লাসের দামও একইরকম। এছাড়া এলজির ফাইভ-জি স্মার্টফোনের দাম ৯০০ থেকে ৯৫০ ডলার এবং ওয়ানপ্লাস ৮ -এর দাম ৯০০ ডলার থেকে শুরু।