বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন স্মার্টফোনে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য বাজারে নিয়ে এসেছে ওয়ালটন প্রিমো আরএম৪ (Walton Primo RM4)। ওয়ালটনের এই ফোনটি ২০২০ সালের শেষের দিকে নভেম্বর মাসে রিলিজ হয়।
দেখে নেওয়া যাক কী কী থাকছে এই ফোনে!
ডিসপ্লে
ফোনটিতে থাকছে ৬.৫ ইঞ্চির HD+IPS ডিসপ্লে।
অপারেটিং সিস্টেম
ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সিপিইউ
ফোনটিতে চিপসেট হিসেবে থাকছে Helio A25 এবং প্রসেসর হিসেবে থাকছে ১.৮ গিগাহার্জ অক্টা-কোর প্রসেসর।
সিম
ফোনটিতে রয়েছে ডুয়াল সিমের সুবিধা। অর্থাৎ, ব্যবহারকারী প্রয়োজনে দুটি সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক
ওয়ালটনের এই ফোনটি মূলত ৪জি সাপোর্টেড। এছাড়াও, ফোনটি ওয়াই-ফাই, ২জি এবং ৩জি সাপোর্ট করে থাকে।
ভেরিয়েন্ট
ওয়ালটনের এই ফোনে থাকছে ৪জিবি র্যাম। এবং ৬৪জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। ২৫৬জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়ানো যাবে।
সেলফি ক্যামেরা
ফোনটিতে রয়েছে ৮ মেগা-পিক্সেল এর (8MP) সেলফি ক্যামেরা।
রিয়ার ক্যামেরা
ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরার এই ফোনটিতে রয়েছে ১৩ মেগা-পিক্সেল + ৫ মেগা-পিক্সেল + ২ মেগা-পিক্সেল ডিপথ ক্যামেরা।
গেমিং পারফর্ম্যান্স
ফোনটির গেমিং পারফর্ম্যান্স মোটামুটি ভালো। তবে, দীর্ঘক্ষণ ধরে গেম খেললে ফোন হ্যাং করা বা স্লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সব ফোনের ক্ষেত্রেই হতে পারে। ওয়ালটন প্রিমো আরএম৪ ও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।
ব্যাটারি
এই ফোনের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে এর অফুরন্ত ব্যাটারি লাইফ। এতে রয়েছে ৫৯৫০ মিলি-অ্যাম্পায়ার (5950 mAh) এর শক্তিশালী লি-পলিমার ব্যাটারি। যার ফলে একবার ফুলচার্জ দিলে ফোনটি আনায়াসে ৩দিন পর্যন্ত চালানো যাবে!
ডিজাইন ও বডি
ফোনটির ডিজাইন অনেকটা রেডমি ফোনের মতোই। আর এই ফোনের ওজন হচ্ছে ২১৪ গ্রাম। যা হালকা নয় আবার ভারীও নয়।
সেন্সর
ওয়ালটনের এই ফোনটিতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এছাড়া ফেস আনলক তো থাকছেই।
কালার
ডার্ক গ্রীণ ( Dark Green), নাইট ব্লু (Night blue) ও ব্ল্যাক (কালো) এই তিন রঙয়ে পাওয়া যাবে ফোনটি।
দাম
ওয়ালটন প্রিমো আরএম৪ (Walton Primo RM4) এর দাম অফিসিয়ালি ১০ হাজার ৫৯৯ টাকা। (BDT 10,599৳) যা প্রায় ১৬০০ টাকার কাছাকাছি। এই ফোনটি মূলত লো-বাজেটের অর্থাৎ কমদামের ফোন ক্রেতাদের টার্গেট করেই তৈরি করা হয়েছে।