মোটরবাইকের জনপ্রিয়তার বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিদিনই শখ আর প্রয়োজনের জন্য বাড়ছে বাইক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তবে, ব্যস্ততম আর যানজটের রাজধানীতে শখের চেয়ে সময় বাঁচিয়ে দ্রুত এক জায়গা থেকে অরেক জায়গায় যেতে মোটরবাইকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার রাস্তায় মোটরবাইকের চলাচল বেড়েছে বহুগুণ।
কিন্তু নতুন মোটরবাইক কেনার মতো সাধ্য অনেকের নেই। সাধ্য আর প্রয়োজন বা শখের মাঝে সমন্বয় ঘটাতে অনেকেই তাই পুরাতন মোটরবাইক কেনেন। ক্রেতাদের এই চাহিদার কারণে রাজধানীর অনেক জায়গায় পুরাতন মোটরবাইক বিক্রির শোরুম গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বাংলামোটর, রামপুরা ও মগবাজার এলাকায় পুরাতন মোটরবাইক ক্রয়-বিক্রয়ের শোরুম বেশি দেখা যায়।
পুরাতন মোটরবাইকগুলো মূলত ফেসবুক বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে থাকে। অনেক সময় সরাসরি শোরুমে এসেও বিক্রি করে দিয়ে যায় বিক্রেতারা। সেখান থেকে বাইকের অবস্থা বুঝে কিনে থাকেন বলে জানান বাংলামোটরের শফিক মটরসের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন। এ ছাড়া বিক্রয়ডটকমে অনেক পুরাতন বাইক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সরাসরি যোগাযোগ করে বাইকগুলো কিনে থাকেন বলেও জানান এই বিক্রয় প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, প্রথমেই দেখি সব কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। সব ঠিক থাকলে বিক্রেতার কথা যাচাই করতে আমরা বাইকের অবস্থা (কন্ডিশন) বুঝি। সে অনুযায়ী দাম কত হবে তা নির্ধারণ হয়। একইভাবে আমরা যখন বাইক বিক্রি করি, তখন ক্রেতারাও এসব বিষয় দেখে কিনে থাকেন।
তবে করোনার ধাক্কায় বর্তমানে ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে জানান জাকির হোসেন। বলেন, করোনার কারণে বর্তমানে ব্যবসা কিছুটা কমে গেছে। আমরা যেমন আগের মতো বাইক কিনতেও পারছি না, তেমনি বিক্রিও করতে পারছি না। তিনি বলেন, আমাদের মূল ক্রেতা হচ্ছে উবার বা পাঠাও চালকরা। এ ছাড়া অনেক উচ্চবিত্ত আছেন যারা কিছুদিন পর পরই বাইক চেঞ্জ করেন। আমাদের নতুন শোরুম আছে। তারা সেখান থেকে এক্সচেঞ্জ করে থাকেন।
বাইকের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক ধরনের মোটরবাইক আছে। সব ব্যান্ডের বাইক আমরা রাখি। আপনি যা চাবেন সবই আমরা দিতে পারব।’ ৩০-৪০ হাজার থেকে ৪-৫ লাখ টাকার মোটরবাইকও আমাদের কাছে আছে বলে জানান জাকির হোসেন।