ড্রোন আমাদের সকলের একটি পরিচিত গেজেট। অনেকে এটিকে শখের বশেও ব্যবহার করে আবার অনেকে এটিকে ভিডিওগ্রাফির উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করে। আর একারণেই ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই এই ড্রোনের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে আছে। এই ড্রোন নিয়ে অনেক জায়গায় অনেক প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে। তবে ড্রোন যেমন কাজের তেমন দামের হয়ে থাকে। তবে কম দামেরও কিছু ড্রোন আছে যেগুলো আকারে একটু ছোট হলেও বেশ ভাল মানের। তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই এমন কিছু ড্রোন সম্পর্কে।
১. স্কেআই পিকোঃ
এই ড্রোনটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদে ড্রোন বললেও ভুল হবেনা। এই ড্রোনটির ওজন মাত্র ৭ গ্রাম। এই ড্রোনটি তে ব্যবহার করা হয়েছে রেটো২ ফ্লাই প্রযুক্তি৷ রাতের বেলা এই ড্রোনটিকে উড়ানোর জন্য দেয়া হয়েছে এলইডি লাইট। এই ড্রোনটি ফুল চার্জ হতে সময় নেবে ত্রিশ মিনিট। ফুল চার্জে এই ড্রোনটি ব্যাকআপ দিবে ৭-৮ মিনিট। এই ড্রোনটি তিনটি মোডে চালানো যাবে। এর ক্যামেরায় রয়েছে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ঘোরানোর সুবিধা। সব মিলিয়ে ক্ষুদে এই ড্রোনে পেয়ে যাচ্ছেন অনেককিছু।
২. জ্যাট জেট আল্ট্রাঃ
এখন যেই ড্রোনটি নিয়ে কথা বলব সেটি ও বিশ্বের অন্যতম একটি খুদে ড্রোন। এর নাম ‘জ্যাট জেট আল্ট্রা’। হাতের একটি স্পর্শে এই ড্রোনটি টেক অফ, অটো টেক অফ অথবা ল্যান্ডিং প্রযুক্তি ছাড়াই স্থির হয়ে ভেসে থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারে এই ড্রোনটি। এই ছোট ড্রোনটি ১০০ ফুট উপর পর্যন্ত উড়তে পারে। সব মিলিয়ে এটি ৫ মিনিট পর্যন্ত উড়বে। এই ড্রোনটিরও চার্জ হতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। এই ড্রোনটি স্মার্টফোন দিয়েও উড়ানো যাবে। স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করে বিভিন্ন সেট আপের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যাবে এই ড্রোনটি।
৩. রেভেল ন্যানো কোয়াডকোপ্টারঃ
সহজেই হাতের তালুতে লেগে থাকে এই ড্রোনটি। এই ড্রোনটির ওজন ১২ গ্রাম। ড্রোনটি চারটি মটোরে চালিত। এটি ৫০মিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। তবে এই ড্রোনের খারাপ একটি দিক হচ্ছে এর সময়সীমা। ফুল চার্জে মাত্র ৫ মিনিট উড়তে পারবে এই ড্রোনটি। এই ড্রোনে ব্যবহার করা হয়েছে লিটিয়াম আইও ব্যাটারি। যেটি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৩৫ মিনিট। সব মিলিয়ে এই ড্রোনটি অসাধারণ একটি গেজেট। এই ড্রোনটি স্মার্টফোন দিয়েও কন্ট্রোল করা সম্ভব।
৪. ওয়ালেট ড্রোনঃ
ওয়ালেট বলতে শুধুমাত্র আমরা মানিব্যাগ কেই বুঝি। কিন্তু বর্তমানে ড্রোনও এভাবে ওয়ালেট হিসেবে রাখা যায়। প্যাকেট সহ এই ড্রোনটি একেবারে একখানা মানিব্যাগের মতোই। কোনো রকম ক্যাবল না লাগিয়েই ব্যাবহার করা যাবে এই ড্রোনটি। রেডি টু ফ্লাই প্রযুক্তি এবং তিনটি ফ্লাইং মোডে চালানো যাবে এই ওয়ালেট ড্রোন। এই ড্রোনটি উড়তে থাকবে ৫-৭ মিনিটের মতো। এর ব্যাটারী ফুল চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ২০ মিনিট। রাতে উড়ানোর জন্য থাকছে এলইডি লাইটের সুবিধা।
৫. রোবো বিঃ
আজকের শেষ আলোচনায় যে ড্রোনটি থাকছে,সেটি চোখ ধাধানো একটি ড্রোন৷ এই ড্রোনের আকৃতি দেয়া হয়েছে মৌমাছির মতো। এই কারনে এর নাম রাখা হয়েছে রোবো বি। এই ড্রোনটি তৈরী করা হয়নি কোনো ব্যাক্তিগত কাজের জন্য। আসলে প্রযুক্তি যে কতটা এগিয়ে যাচ্ছে, সেটার উদাহরন হিসেবেই তৈরী করা হয়েছে এই ড্রোনটি। স্বাভাবিক ভাবেই এগুলো মৌমাছির মতো ফুলে ফুলে পরাগায়ন করতে সক্ষম। এটি ড্রোনের মত করা যাবে কন্ট্রোলও। স্মার্টফোনের মাধ্যমেই করা যাবে এর কন্ট্রোলিং।
তো এই ছিলো আজকের ৫টি মিনি ড্রোন নিয়ে কথা। আশা করি আপনাদের এই কথাগুলি ভালো লেগেছে।