সম্প্রতি প্রযুক্তি বাজারে ডাটা ট্রান্সফার ও চার্জিংয়ের জন্য থান্ডারবোল্টের নতুন সংস্করণ উন্মোচন করেছে ইন্টেল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্টটির দাবি, ইউএসবি ৪ ভার্সন ২ স্ট্যান্ডার্ড নির্ভর নতুন থান্ডারবোল্টটি প্রতি সেকেন্ডে ৮০ গিগাবিট স্পিড পাওয়া যাবে। খবর সিনেট।
উচ্চ রেজল্যুশনের ডিসপ্লের সঙ্গে থান্ডারবোল্ট ব্যবহারের সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২০ গিগাবিট গতিও পাওয়া যাবে। তবে থান্ডারবোল্টের নতুন ভার্সনটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে বা এর কী নাম দেয়া হবে, সে বিষয়ে ইন্টেলের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
থান্ডারবোল্ট আর ইউএসবি প্রযুক্তির ইতিহাস বেশ জটিল। প্রযুক্তি খাতে ইন্টেলের নিজস্ব উদ্ভাবন হিসেবে থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তির যাত্রা হয়। কিন্তু পরে ইউএসবি প্রযুক্তি নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের জন্য থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রযুক্তি জায়ান্ট।
বর্তমান বাজারের থান্ডারবোল্ট যন্ত্রাংশগুলো কার্যত ইউএসবি প্রযুক্তির আরো মার্জিত ও পরীক্ষিত সংস্করণ হিসেবেই পরিচিত। ডকিং স্টেশন, কম্পিউটারের পাশে থাকা পোর্টসহ অন্যান্য ডিভাইসে বজ পাতের মতো লোগো থাকার মানে হচ্ছে যন্ত্রাংশগুলো ইন্টেলের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পাস করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন প্রজন্মের থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যত প্রতি সেকেন্ডে ৪০ গিগাবিট গতিতে নিরবচ্ছিন্ন ডাটা ট্রান্সফার সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইছে ইন্টেল। একই সঙ্গে দুটি ফোর কে মনিটর, ডিসপ্লেপোর্ট প্রযুক্তি সমর্থন এবং ল্যাপটপের জন্য একশ ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতাও থাকবে নতুন থান্ডারবোল্টে।
ল্যাপটপের সঙ্গে অন্যান্য হার্ডওয়্যারের সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে থান্ডারবোল্ট ও ইউএসবি ৪ প্রযুক্তি। এর মধ্যে থাকতে পারে হাই-রেজল্যুশন ফোরকে মনিটর, এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভ ও উচ্চগতির নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার।
সৃজনশীল পেশার কর্মী আর গেমাররা ডেস্কটপ পিসির বদলে ক্রমেই বহনযোগ্য ডিভাইসের দিকে ঝুঁকতে থাকায় এ প্রযুক্তির গুরুত্ব আরো বেড়েছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদ ও বিশ্লেষকরা। কিন্তু হরেক রকমের পোর্ট আর ডাটা ট্রান্সফারের মান ক্রেতাদের জন্য বিভ্রান্তিকর।
ইউএসবি ও থান্ডারবোল্ট দুই প্রযুক্তিতেই পুরনো কম্পিউটারের সঙ্গে নতুন ডিভাইসের সংযোগ স্থাপনের সুযোগ রেখেছে নির্মাতারা। তবে অসংখ্য তারের প্যাঁচ আর ডিভাইসের সর্বোচ্চ গতিতে কাজ করার ব্যর্থতা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য। একই সঙ্গে একাধিক ধরনের ডাটা ট্রান্সফারের সক্ষমতা থাকায় থান্ডারবোল্ট প্রযুক্তি এ জটিলতার আংশিক সমাধান করতে পারবে বলে মনে করছেন ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা ভিশনটেকের পরিচালক নিক ব্রিল।
তিনি বলেন, থান্ডারবোল্টের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক এটাই। আপনি যা ইচ্ছা তাই একটা থান্ডারবোল্ট পোর্টে জুড়ে দিয়ে দেখতে পারেন; সম্ভবত সেটা কাজ করবে।